বছর দুয়েক আগে রাজস্থানের যোধপুরে মথুরাদাস মথুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। আর তাঁর সেই অতৃপ্ত আত্মা নাকি আটকে ছিল হাসপাতালের মধ্যে। সেই আত্মাকে দুবছর পরে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গেল পরিবার। আর পরিবারের এই অন্ধ বিশ্বাস, আচার আচরণ দেখে হতবাক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী হয়েছিল?
বুধবার আচমকাই দেখা যায় একটি পরিবারের চারজন সদস্য তার মধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। তাঁরা একটি মাটির পাত্র নিয়ে এসেছিলেন। তার মধ্যে আগুনের শিখা জ্বলছিল। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা মন্ত্র পড়া শুরু করেন। খালি পায়ে তাঁরা হাসপাতালে পায়চারি শুরু করেন। এর সঙ্গে শুরু হয় জল ছেটানো, ধান ছেটানো। এমনকী হাসপাতালের ওয়ার্ডেও তাঁরা ঢোকার চেষ্টা করেন। রক্ষী তাঁদের আটকে দেন।
এদিকে হাসপাতালের তরফ থেকে তাঁদের বার বার প্রশ্ন করা হয় কেন তাঁরা এমন আজব কাজ করছেন? তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে তারপরই অটোতে চেপে চলে যান তাঁরা। এর মধ্যে ওই পরিবারের এক সদস্য গোটা বিষয়টি খোলসা করেন। তিনি বলেন, দাদা বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই সংসারে নানা সমস্যা। এক তান্ত্রিক বলেছিল দাদার আত্মা শান্তিতে নেই। এরপরই আমরা আগুনের মধ্যে দাদার আত্মাকে বের করে নিয়ে গেলাম। এদিকে এই কুসংস্কারকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে।