জোর করে ধর্মান্তর নিয়ে এবার অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পথে হাঁটতে চলেছে রাজস্থান। ধর্মান্তর বিরোধী বিল আনতে চলেছে রাজস্থান সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এই বিলের অনুমোদন দিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে এই ধর্মান্তর বিরোধী এই বিল পেশ করা হবে। জোর করে ধর্মান্তর করা হলে কড়া শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই বিলে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়াদের ধর্মান্তকরণ, জিহাদিদের সঙ্গে যোগ’, অভিযোগ রাজস্থানের ৩ শিক্ষকের নামে
রাজস্থানের মন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল জানান, এই আইনের অধীনে অপরাধ জামিন অযোগ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে, অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অন্তত ৬০ দিন আগে জেলাশাসকের কাছে আবেদন জমা দিতে হবে। জেলাশাসক ধর্মান্তরটি স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। তারপর অনুমতি দেবেন।
প্যাটেল বলেন, ‘সরকার রাজ্যে জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে একটি বিল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিলে জোর করে ধর্মান্তরকরণের জন্য শাস্তি সহ বিভিন্ন ধারায় এক বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।’ তিনি জোর দিয়ে জানান, বিলটি একবার আইনে পরিণত হলে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভুল বুঝিয়ে, জালিয়াতি করে, বলপ্রয়োগ বা প্রভাব খতিয়ে কাউকে ধর্মান্তরিত করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কাজ করে, তাহলে তাদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। তিনি জানান, এই আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হবে।
উপ মুখ্যমন্ত্রী প্রেম চাঁদ বৈরওয়া বলেন, ‘মানুষকে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য প্রলুব্ধ করা হচ্ছে তা তারা জানতেন না। ধর্মান্তর নিয়ে অন্যান্য রাজ্যের নিয়মগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তারপরে শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। এরফলে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন বন্ধ হবে বলে তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, রাজস্থান সরকার বেআইনি ধর্মান্তর বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এই নিয়ে কঠোর নিয়ম রয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে রাজস্থান। হিমাচল প্রদেশও ২০২২ সালে বিজেপির শাসনে ধর্মান্তর বিরোধী আইনকে আরও কঠোর করেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মান্তর বিরোধী বিল ছাড়াও রাজস্থান মন্ত্রিসভা এদিন রাজ্যে শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে জোরদার করার লক্ষ্যে ৯টি নতুন নীতি অনুমোদন করেছে।