রবিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের বিষয় নালিশ ঠুকেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কয়েক ঘণ্টা যেতে যেতেই রাজ্যপালের কাছ থেকে এল বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার ছাড়পত্র। অন্যদিকে সচিন পাইলট মামলায় রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিলেন রাজস্থান স্পিকার। ছয় বিএসপি বিধায়কের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিল রাজস্থান হাইকোর্ট। সোমবার সকালে এভাবেই দ্রুত পট পরিবর্তন হল রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিরতায়।
এদিন সকালে কংগ্রেস বিধায়ক দল প্রার্থনা সভা করে। তারপর পাঁচতারা হোটেলেই বসে বিধায়কদের বৈঠক। সেখানে অশোক গেহলট বলেন যে তিনি মোদীকে ফোন করে বলেছেন যে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র অধিবেশন ডাকতে চাইছেন না। এই নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার কথাও বলেন গেহলট। সূত্রের খবর, মোদী তাঁকে আশ্বাস দেন যে তিনি বিষয়টি দেখছেন।
অধিবেশন চালু করা বিষয়ক কয়েকটি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই চিঠিকে পরিহাস করে গেহলট বলেন যে প্রেমপত্র পেয়েছি, উত্তর দেব। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খুলল জট। সংবিধানের ১৭৪ ধারা অনুযায়ী বিধানসভার অধিবেশন ডাকার কাজ করার নির্দেশ রাজ্য সরকার কে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, বিধানসভার অধিবেশন না ডাকার কোনও ইচ্ছা নেই রাজ ভবনের। সংবিধান মেনে কাজ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে রাজস্থান হাইকোর্টের রায় পড়তে সময় লাগবে, এই বলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্পিকার। আপাতত স্পিকার সচিন পাইলট সহ ১৯জন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না, রাজস্থান হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন সিপি যোশী।
অন্যদিকে বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার বিপক্ষে যে পিটিশন, সেটি খারিজ করে দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। রবিবার রাতে বিএসপি-র তরফ থেকে বলা হয় যে বিধায়করা যেন আস্থা ভোটে গেহলটের বিরুদ্ধে ভোট দেন। কিন্তু সব বিএসপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।