করোনা মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এর জেরে এবার রাজস্থান সরকার কোভিড মৃত্যুর অডিটের নির্দেশ দিল। এই উদ্দেশে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে সরকারের তরফে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই দল কোভিডে আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা যাচাই করবে। এদিকে শুধু রাজস্থান নয়। কোভিড মৃত্যুর অডিটের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড ও। সেরাজ্যের পাঁচ জেলায় এই অডিট করা হবে বলে জানানো হয়েছে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন সরকারের তরফে।
সরকারি হিসেব বলছে, রাজস্থানে আজও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯১১ জনের। সরকারের দাবি, ১ এপ্রিল থেকে ২০ মে-এর মাঝে রাজস্থানের ২৫টি জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯১৮ জনের। তবে রাজস্থানের এক স্থানীয় সংবাপত্র এক সমীক্ষা করে দাবি করেছে, এই সময়কালে রাজস্থানে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৪৮২। এরপরই বিরোধী বিজেপি এই নিয়ে সরব হয়। অভিযোগ ওঠে, রাজ্য সরকার ভুল তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করছে। এরপরই অশোক গেলটের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যার অডিট করা হবে।
এদিকে এই বিষয়ে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা দাবি করেন, 'রাজ্য সরকার এটা নিশ্চিত করছে যাতে কোভিডে মৃতদের পরিসংখ্যান এবং তথ্য সঠিক ভাবে সংরক্ষিত হয়। সরকারি তথ্যে কোনও অনিয়ম থাকার অবকাশ নেই। যাতে কোনও ভাবে সংখ্যার হেরফের না করা হয়, তা নিয়ে সব পর্যায়ের আধিকারিকদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা মানুষের জীবন নিয়ে চিন্তিত, পরিসংখ্যান নিয়ে নয়। রাজস্থান সরকারের প্রকাশিত তথ্য পুরোপুরি সঠিক।'
এদিকে ঝাড়খণ্ডে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে ২০ হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে এটা সর্বনিম্ন। এর আগে ২ মে রাজ্য সর্বোচ্চ দৈনিক মৃত্যু দেখেছে। সেদিন সেই রাজ্যে ১৫৯ জন মারা গিয়েছিলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে রাঁচি এবং পূর্ব সিঙভূমে দৈনিক মৃতের সংখ্যা নেমে যথাক্রমে ৩ এবং ৪। এরপরই রাজ্যে কোভিড মৃত্যুর সংখ্যার অডিটের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমরা জানতে চাই যে সরকারি তথ্য থেকে আসল পরিসংখ্যান আলাদা কিনা।'