দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে কৃষক বিক্ষোভ। তারইমধ্যে রাজস্থানের জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে অক্সিজেন পেল বিজেপি। রাজ্যের ২১ টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে অনেকটা এগিয়ে আছে গেরুয়া শিবির।
কৃষক বিক্ষোভের মধ্যে সেই ‘জয়’ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ায় আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা টুইটারে বলেন, ‘রাজস্থানের পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদের নির্বাচনে গ্রামীণ ভোটার, কৃষক এবং মহিলারা যেভাবে আস্থা রেখেছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর গ্রাম, গরিব, কৃষক এবং শ্রমিকদের কতটা আস্থা আছে, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই জয়।’ একই সুরে কৃষকদের ‘আস্থা অর্জন’-এর বিষয়টি তুলে ধরেছেন প্রকাশ জাভড়েকর।
এবার ৩৩ টির মধ্যে ২১ টি জেলায় জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে জেলা পরিষদে ইতিমধ্যে ২৬৫ টি আসন জিতেছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ২০১ টি আসন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির ১,৮৩৩ টি আসনে ইতিমধ্যে পদ্মফুল ফুটেছে। কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে ১,৭১৩ টি আসন। সাধারণত রাজস্থানে যে দল ক্ষমতায় থাকে, তারাই জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে বাজিমাত করে। কিন্তু সেই ধারা পালটে গিয়েছে। আর সেই পরিবর্তনের ধারায় বিজেপি রীতিমতো চাঙ্গা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে কংগ্রেসের অন্দরে যে ফাটল তৈরি হয়েছিল, তা এখনও যে মেটেনি, তা ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করলেও গ্রামাঞ্চলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে। বিশেষত কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েও গ্রামীণ এলাকার মানুষের মন জিততে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। যা পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে বড়সড় উদ্বেগের বিষয় হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটের মধ্যে মতবিরোধের ফলে রাজস্থানে ক্রমশ কংগ্রেসের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।