শচিন সাইনি
রাজস্থানের বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? এনিয়ে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। সূত্রের খবর শচিন পাইলটকে নিয়ে যাবতীয় জটিলতার সূত্রপাত। মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে শচিন পাইলটকে কিছুতেই মানতে পারছেন না অশোক গেহলটের অনুগামীরা।
কিন্তু ঠিক কী চাইছেন অশোক গেহলটের অনুগামীরা? সূত্রের খবর দলের সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল বের হবে ১৯ অক্টোবর। সেক্ষেত্রে সেই ফলাফল কী হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছেন তাঁরা। তারপরই তাঁরা চাইছেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কিন্তু কোনওভাবেই শচিন পাইলটকে তাঁরা মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে মানতে পারবেন না।
এদিকে মনে করা হচ্ছে সব মিলিয়ে ৯২জন বিধায়ক স্পিকারের কাছে তাঁদের পদত্য়াগপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে পাইলট শিবিরে আবার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। তাঁদের দাবি, হাইকমান্ড যে আশ্বাস দিয়েছে তা পূরণও করা হবে। শচিন পাইলটই মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন।
এদিকে সূত্রের খবর বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেকেই কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। মনে করা হচ্ছে গেহলট ও পাইলট উভয়ই দ্রুত দিল্লিতে এসে হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করবেন।
এক্ষেত্রে চারটি সম্ভাব্য দিক উঠে আসছে।
১) কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের সভাপতি নির্বাচনের জন্য় কোনও বিকল্প প্রার্থীকে তুলে আনতে পারেন।
২)কংগ্রেস নেতৃত্ব গেহলটকেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে রেখে দিতে পারেন।
৩)কংগ্রেস নেতৃত্ব পাইলটকে মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারেন। এক্ষেত্রে গেহলটকে বুঝিয়ে বিদ্রোহীদের বাগ মানানো হতে পারে।
৪) গেহলট ও পাইলট উভয়েরই সম্মতি রয়েছে এমন কোনও প্রার্থীকে বাছতে পারেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।