রাজস্থান থেকে এবার বিজেপির সমর্থনে রাজ্যসভায় যেতে চাইছেন এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান তথা মিডিয়া ব্যারন সুভাষ চন্দ্র। খুব কঠিন অঙ্ক নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন সুভাষ চন্দ্র। বিজেপির ৩০ জন বিধায়ক ও আরএলপির ৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সুভাষের সঙ্গে। যদিও ভোটে জিততে সুভাষের প্রয়োজন ৪১টি ভোট। অর্থাৎ, আরও আটটি ভোট জোগাড় করতে হবে এই মিডিয়া ব্যারনকে। আর এই কঠিন অঙ্ক কষার মাঝেই তিনি দাবি করলেন, কংগ্রেসের আটজন বিধায়ক ‘ক্রসভোট’ করবেন, অর্থাৎ নিজের দলের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে সুভাষকেই সমর্থন জানাবেন। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটকেও ‘ক্রসভোট’ করার আহ্বান জানিয়েছেন সুভাষ চন্দ্র।
মিডিয়াকে সুভাষ বলেন, ‘নিজের অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার এটাই সুযোগ সচিন পাইটের কাছে। এই সুযোগের ফায়দা যদি সচিন না নিতে পারেন তবে তিনি ২০২৮ সালের আগে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।’ এরপর সুভাষ চন্দ্র আরও বলেন, ‘আমি মনে করছি কংগ্রেসের আটজন বিধায়ক ক্রসভোট করবেন। তাঁরা এই কাজ আমাকে ভালোবাসেন বলে করবেন না, বরং দলের অপমানের জবাব দিতেই এই কাজ করবেন তাঁরা।’
ছয় বছর আগে হরিয়ানায় এই সুভাষ চন্দ্রের কাছেই হারতে হয়েছিল কংগ্রেস মনোনীত রাজ্যসভার প্রার্থী আরকে আনন্দকে। সেবারে হরিয়ানার সেই আসন কংগ্রেসের জন্য ছিল ‘নিশ্চিত’। তবে তা সত্ত্বেও বিজেপি সমর্থিত নির্দল সুভাষের গুগলিতে হারতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। এবার সেই একই পরীক্ষার সামনে কংগ্রেস। তবে এবার পরীক্ষা রাজস্থানে। আর এবারের পরীক্ষা আরও কঠিন আগের বারের থেকে।
কংগ্রেস রাজস্থান থেকে তিনজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রমোদ তিওয়ারি। বিজেপি একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – ঘনশ্যাম তিওয়ারি। এই আবহে কংগ্রেসের ততৃতীয় প্রার্থী প্রমোদ তিওয়ারির সঙ্গে সুভাষ চন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানে এক একটি আসনে জিততে একটি প্রার্থীর প্রয়োজন ৪১টি আসন। সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭১। তার মানে ঘনশ্যামকে জিতিয়েও তাদের কাছে ৩০টি আরও ভোট থাকবে। সেই ভোট দিয়েই তারা সুভাষকে সমর্থন জানাবে। তাছাড়া কংগ্রেস সরকারকে সমর্থনকারী ১৩ নির্দল ও ছোট দলের বিধায়কদেরও ভাঙানোর চেষ্টা করবে বিজেপি। এই আবহে রাজস্থানের এই একটি আসনের ভোটের অঙ্ক ক্রমেই জটিল হচ্ছে।