সচিন পাইলট সহ ১৯জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসির বিরুদ্ধে ২৪ জুলাই অবধি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলেছে রাজস্থান হাই কোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষ সিপি যোশী। তাঁর অধিকারে দখল করছে বিচার ব্যবস্থা এই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে গেলেন তিনি।
সি পি যোশী বলেন যে তিনি এটা জানতে চান যে স্পিকারকি শো-কজ নোটিস পাঠাতে পারে না। তিনি বলেন ১৯৯২ সালেই সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে যে দল বিরোধী আইন সম্পর্কিত পিটিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে অধ্যক্ষ।
কংগ্রেসের মুখ্য হুইপ সচিন ও অন্যান্য বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসিদের বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। হুইপ অমান্য করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বলেন তিনি। সেই মোতাবেক স্পিকার নোটিস পাঠায় বিদ্রোহীদের। দুই দিন উত্তর দিতে সময় দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে গিয়ে অনেকটাই অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন সচিন ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। চলছে সওয়াল জবাব, তাই স্পিকারকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে মানা করে আদালত। ২৪ তারিখ এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাই কোর্ট। কিন্তু অতদিন অপেক্ষা করতে রাজি নন স্পিকার।
মঙ্গলবার আদালত ডিরেক্ট অর্থাৎ নির্দেশ শব্দটি ব্যবহার করেছে। এতে আপত্তি স্পিকারের। একই সঙ্গে শুধু নোটিসের ক্ষেত্রে আদালত কেন নাক গলাচ্ছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তাঁর।
সচিন শিবির আদালতে বলেছে যে স্পিকারের নোটিস পাঠানো সংবিধানের দশম শিডিউলের পরিপন্থী। অন্যদিকে রাজস্থান সরকারের কৌঁসুলী বলেছেন এখনও তো স্পিকার কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। তার আগেই কেন আদালতে সচিন পাইলট।