রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার বাসিন্দা নন্দলাল গত ২০১৯ সাল থেকে আজমেঢ় সেন্ট্রাল জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজায় বন্দি। উল্লেখ্য, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই এক অপরাধের ঘটনায় নন্দলাল জেলবন্দি। আর নন্দলালকে পেরোলে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে, তার স্ত্রী পেশ করেছেন তাঁর পরিস্থিতির কথা।
নন্দলালের স্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেল অফিসার ও কালেক্টরের কাছে একটি আবেদনে জানান, তিনি মা হতে চান, গর্ভধারণ করতে চান, আর সেই কারণেই যাতে নন্দলালকে পেরোলে মুক্তি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে জেলবন্দি নন্দলাল গতবছর মে মাসে প্রথম পেরোল পেয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে তার প্রথম পেরোল দেরিতে আসে। এদিকে, নন্দলালের স্ত্রী জেল কর্তৃপক্ষ ও কালেক্টরের কাছে স্বামীর পেরোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েও কোনও উত্তর পাচ্ছিলেন না। এরপরই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হাইকোর্টে ১৫ দিনের জন্য তাঁর স্বামীকে পেরোলে মুক্তির কথা জানান তিনি। আবেদনে জানান, তিনি গর্ভবতী হতে চান, সেই কারণেই তাঁর স্বামীর পেরোলের আবেদন করছেন তিনি। পাশাপাশি জানান, তাঁর স্বামী কোনও দাগী অপরাধী নন, পরিস্থিতির বশে তিনি অপরাধ করে ফেলেছিলেন, আর জেলের ভিতর তিনি সমস্ত নিয়ম পালন করছেন। ফলে নন্দলালকে পেরোল দেওয়া হোক। নন্দলালের স্ত্রীয়ের আবেদন শুনে আদালতের বিচারপতিরা বেদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন, বলা হয় হিন্দু দর্শন অনুযায়ী এটি অনুমোদন যোগ্য, ও সন্তানের জন্ম দেওয়া মৌলিক অধিকার। এরপরই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ১৫ দিনের পেরোলে নন্দলালকে মুক্তি দেন।