জল্পনাটা সত্য়ি হল অবশেষে। তৃণমূলেই ফিরলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ছবি নিয়ে তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর ২১শের মহারণের আগে চার্টার্ড ফ্লাইটে চড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অমিত শাহের কাছে, তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। এরপর অবধারিতভাবে বিজেপির টিকিটও পেয়ে গিয়েছিলেন। আর ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপির প্রতি বেসুরো গাইতে শুরু করেন তিনি। সেই রাজীবই রবিবার দুপুরে ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ফের তুলে নিলে ঘাসফুল আঁকা তৃণমূলের পতাকা।
এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করলেন রাজীব। প্রাক্তন সেচমন্ত্রী ত্রিপুরায় তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় আসছেন আর বিজেপি কাঁপছে। কী অবস্থা ভাবুন।ত্রিপুরায় গদি টলমল হয়ে গিয়েছে। এইজন্য ভয় পেয়ে গিয়েছে। আমি চারদিকে ঘুরেছি। প্রত্যেকের একটা কথা। দাদা কত তাড়াতাড়ি পরিবর্তন আসবে। যিনি পরিবর্তন নিয়ে আসবেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার তুলনা করেও দলীয় নেতৃত্বের মন ভেজানোর মরিয়া চেষ্টা করেন রাজীব।
রাজীব বলেন, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, আমাদেরও কম ভাববেন না। আমাদেরও যোগাযোগ কম নয়। আমাদের মাথার উপর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যপাশে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে কথা দিয়ে যাচ্ছি তৃণমূলের কর্মী হিসাবে যখন যেখানে বলবেন সেখানেই যাব। তার জন্য যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই করব। বিজেপিকে বিশ্বাস করা মানে যেভাবে আমার বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে, সেভাবে আপনাদেরও বিশ্বাসভঙ্গ হবে।
কিন্তু তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীদের একটাই প্রশ্ন যে রাজীব এতদিন তৃণমূলের চোখে গদ্দার ছিলেন, যে রাজীব বার বার মমতা আর অভিষেকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, কোন বোঝাপড়ায় সেই রাজীবকেই আবার সাদরে ঘরে তুলে নিল তৃণমূল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে তদন্তের কথা বলত তৃণমূল সেটা হবে তো? প্রশ্ন সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের একাংশের।