দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে সদ্য মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই তালিকায় নলিনী সমেত রয়েছে আরপি রবিচন্দ্রণ। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আর পি রবিচন্দ্রন বলছে, সময় একদিন বিচার করে নেবে যে তাঁরা ‘নির্দেষ ’ ছিলেন।
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে শনিবার তাঁর সাজা মুক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রবিচন্দ্রন প্রসঙ্গ তোলেন ‘উত্তর ভারত’ এর। তিনি বলেন, উত্তর ভারতের মানুষ যেন তাদের ‘ হত্যাকারী কিম্বা জঙ্গি হিসাবে না দেখে, বরং শিকার' হিসাবে দেখে'। রবিচন্দ্রনের সঙ্গে জেলের সাজা থেকে মুক্তি পেয়েছে নলিনী শ্রীহরণ। এদের সকলের সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার এলটিটিই বাহিনীর যোগের তথ্য প্রমাণ ছিল। যে সংগঠনের হাত ধরেই তামিলনাড়ুর পেরামবুদুরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়। সেই হামলা ছিল আত্মঘাতী হামলা। রবিচন্দ্রন বলছে, ‘ সময় আর শক্তি বুঝে নেবে কে জঙ্গি আর কে স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে সময় আমাদের নির্দোষ প্রমাণ করবে। যদি আমাদের জঙ্গি হিসাবে মনে করা হয়, তাতেও।’ উল্লেখ্য, নলিনী ও রবিচন্দ্রন ২০২১ সাল থেকে পেরোলে রয়েছে। এদিকে, সদ্য ১৮ মে ওই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম দোষী এজি পেরিভালনকে জামিন দেওয়া হয়। পেরিভালনের দুর্বল স্বাস্থ্যের হেতু ভারতীয় সংবিধানের ১৪২ নং ধারায় বিশেষ ক্ষমতা বলে সুপ্রিম কোর্ট পেরিভালনকে মুক্তি দেয়। পেরিভালনের মুক্তি কার্যত সুবিধা এনে দেয় রবিচন্দ্রনদের মামলায়। ফলে তাদের সাজা মুক্তির আইনি লড়াই সহজ হতে থাকে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে রাজীব হত্যা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশ হয় তথ্য প্রমাণ। দোষী সাব্যস্ত হয় ৭ জন। ২০২১ সালে সাজা থেকে মুক্তি পায় পেরিভালন। এরপর ২০২২ সালে বাকি ৬ জনও মুক্তি পায়। এদিকে, জেল থেকে মুক্তি পেয়ে নলিনী শ্রীহরণ বলেছে, সে তামিলনাড়ুর মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ তাকে সমর্থন করার জন্য। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি না। সেই প্রসঙ্গে নলিনী বলে, ‘তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই’। তবে, আপাতত নলিনী নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছে বলে জানিয়েছে।