বিজেপি শাসনে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে একের পর এক আক্রমণ নিয়ে ব্যথিত মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র তথা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ রাজমোহন গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি, কূটনীতি সবকিছুতেই কোনও না কোনওভাবে নেহেরুকে দায়ী করা হচ্ছে, তার উপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবেও তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন ইতিহাসবিদ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তিন বার ভারত সফরে এসেছেন, তৃতীয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন
রাজমোহন গান্ধীর মতে, নেহেরু একজন ভালো মনের মানুষ এবং অসাধারণ ও মহান মানুষ ছিলেন। ফলে তাকে নিয়ে, তাঁর আদর্শ নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা মোটেও কাম্য নয়। গান্ধী পৌত্র মনে করেন, নীতিগতভাবে কারও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা যায় কিন্তু তার নামে ব্যক্তিগত কুৎসা ছাড়ানো, মিথ্যাচার করা মোটেও উচিত নয়। একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে কথোপকথনের সময় রাজমোহন এই কথা বলতে গেলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এরপরে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেহেরুর অবদানের কথা তুলে ধরেন গান্ধী পৌত্র। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৪ বছর ধরে জেলে থেকেছেন জহরলাল নেহেরু। জেল থেকে ফেরার পর তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। একজন ভালো মানুষ ছিলেন নেহরু। তিনি হিমালয়কে ভালোবাসতেন, সারা পৃথিবীর মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। যদি এভাবে তাঁকে অপমান করা হয় তাহলে একসময় পৃথিবীর মানুষ, এমনকি হিমালয়ও প্রতিবাদে গর্জে উঠবে বলে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজমোহন গান্ধী।