রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা নিয়মিত ‘অগ্নিবীর’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আর তার নিয়মিত জবাব দিতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। আর হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন অগ্নিবীর অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস অগ্নিপথ নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে বিজেপিকে। এবার এ নিয়ে পালটা রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজনাথ সিং। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুলের দল অগ্নিবীর নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২২টি ইন্টারসেপ্টর বোট, ৯৭০টি নেভিগেশন সিস্টেম কেনার অনুমোদন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
অগ্নিবীর নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করে রাজনাথ সিং বলেছেন, এই প্রকল্পটি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে আনা হয়েছিল। অগ্নিবীররা বেতন, বীমার সুবিধা সহ অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অগ্নিবীরদের সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে । উল্লেখ্য, হরিয়ানার মতো রাজ্য যেখানে যুবকদের সেনাবাহিনী চাকরির প্রতি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ক্রমাগত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিষয়টি উত্থাপন করে বিজেপিকে আক্রমণ করছে।
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতের সামরিক বাহিনীতে তরুণ এবং উৎসাহী সেনার প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইজরায়েল, চিন প্রভৃতি দেশের সামরিক বাহিনীতে অস্থায়ী চুক্তিতে সেনা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সেই কারণে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে ভারতের সেনাতেও অগ্নিবীর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধী সারাদেশে মিথ্যা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন যে চাকরির পর অগ্নিবীরদের জীবিকার জন্য ঘুরে ঘুরে বেড়াতে হবে। সেই কথা পুরোপুরি মিথ্যা।
অগ্নিবীরদের সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে রাজনাথ বলেন, প্রত্যেক অগ্নিবীরকে চার বছরের পরিষেবার পরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার এককালীন প্যাকেজ দেওয়া হয়। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, অসম, এমপি, ছত্তিশগড়, অরুণাচল, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ার মতো রাজ্যগুলির সশস্ত্র বাহিনীতে অগ্নিবীরদের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বাকি সরকারি চাকরিতেও অগ্নিবীদের সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় কোনর অগ্নিবীরের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার কিছু পায় না বলে কংগ্রেসের যে অভিযোগ তাও মিথ্যে। তিনি জানান, সত্য হল অগ্নিবীরা কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে তাদের পরিবারকে দেড় কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৪৮ লক্ষ টাকা বিমা রয়েছে। এর প্রিমিয়াম অগ্নিবীরদের কাছ থেকে কাটা হয় না। এছাড়া, ৪৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ রয়েছে। আরও বলেন, যে মৃত্যুর পর চাকরির মেয়াদ বাকি থাকলে সেই সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অগ্নিবীরের পরিবারকে বেতন দেওয়া হয়।