রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎপর হতেই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সেখানে ১৭ রাজনৈতিক দলের ২৭ জন প্রতিনিধি শরদ পাওয়ারের নাম সর্বসম্মতিক্রমে প্রকাশ্যে আনতেই আরও চাপ বেড়ে যায়। যদিও শরদ পাওয়ার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে চান না বলেই জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কী বিজেপি টেনশন মুক্ত হতে পেরেছে? উঠছে প্রশ্ন।
তারপর কী সিদ্ধান্ত হল? শরদ পাওয়ার রাজি না হওয়ায় আগামী বৈঠক ডাকা হয়েছে ২১ জুন। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকলেও একটা বিষয়ে তিনি নিশ্চিত, সুর বাঁধা হয়ে গিয়েছে। সিংহভাগ বিরোধী দলই সর্বসম্মতভাবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঠিক করবে। আর কনস্টিটিউশন ক্লাবের বৈঠকের অ্যাজেন্ডা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলেও মূল লক্ষ্য ২০২৪। মোদী সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে এক এবং অদ্বিতীয় মহাজোট। তা জানে বিজেপিও।
ঠিক তারপর কী ঘটল? সূত্রের খবর, এই বৈঠকের পরই তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ফোন আসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। কী কথা হল দু’পক্ষের মধ্যে? টেলিফোনে রাজনাথ সিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই ফোন করতে বলেছেন। সর্বসম্মত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করতে চাই।’ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা জানতে চান, ‘এনডিএ প্রার্থী কে?’ জবাব দিতে পারেননি রাজনাথ। তাই কুশল বিনিময়েই শেষ ফোনালাপ। সুতরাং বিজেপি যে চাপে পড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
তারপর কী পদক্ষেপ করা হল? বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাগে আনতে না পেরে কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবকে ফোন করেন রাজনাথ। খাড়গে পাল্টা চাপ দিয়ে রাজনাথ সিংকে বলেন, ‘বিরোধীরা যে নাম ঠিক করবে, তাঁকে কি বিজেপি সমর্থন দেবে? তাহলেও তো সর্বসম্মত হয়।’ জবাব দিতে পারেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। জমি ছাড়েননি অখিলেশও। সুতরাং জোটের ঐক্য থেকে কেউ একচুল সরেনি। যা বাড়তি অক্সিজেন বিরোধীদের কাছে। আর বৈঠকে মমতা সাফ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই যেন আমাদের জোটের ইতি না হয়। নির্বাচনের পরেও বিজেপি বিরোধিতা জারি রাখতে হবে। তৈরি করতে হবে কর্মসূচির ক্যালেন্ডার।’ যা সমর্থন করেছেন সবাই।