জম্মু ও কাশ্মীরের সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ সম্পন্ন। এই আবহে চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীরে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার মহারাজা গুলাব সিংহের রাজ্যাভিষেকের ২০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, 'সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।'
২০১৯ সালের ৫ অগস্টের আগে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ছিল ১১১। এর মধ্যে লাদাখে ছিল ৪টি এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিল ২৪টি আসন। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে ছিল ৮৩টি আসন। তবে নয়া রাজনৈতিক মানচিত্রে এই সংখ্যার হেরফের হয়েছে। রাজনাথ সিং এই নিয়ে বলেন, 'আগে জম্মুতে ৩৭ এবং কাশ্মীরে ৪৬টি বিধানসভা আসন ছিল। কিন্তু সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে জম্মুতে ৪৩ এবং কাশ্মীরে ৪৭টি আসন হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।' প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।
নয়া খসড়া অনুযায়ী, জম্মুতে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৬টি, কাশ্মীরে আসন বেড়েছে আগের তুলনায় মাত্র ১টি। জম্মু ও কাশ্মীরের আসনগুলির মধ্যে তফসিলি জাতির জন্য ৭টি আসন, তফসিলি উপজাতির জন্য ৯টি আসন সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা এবার শূন্য। এবার পুদুচেরি বিধানসভার মতো জম্মু ও কাশ্মীরেও মনোনীত সদস্য রাখার প্রস্তাব রেখেছে কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মীরি অভিবাসী সম্প্রদায়ের একজন মহিলা সহ কমপক্ষে দুই সদস্য মনোনয়ন পেতে পারেন বিধানসভায়। এছাড়া কমিশন সুপারিশ করেছে যে পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব দিতে পারে কেন্দ্র। মনোনয়নের মাধ্যমে তাদের বিধাসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে।