উপত্যকায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তোপ দেগে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ বলেন, ‘১৯৯৪ সালে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট এবং বালতিস্তানের মতো অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করাই ভারতের লক্ষ্য।’ রাজনাথ বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে আমাদের উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছি। আমরা গিলগিট এবং বালতিস্তানে পৌঁছলেই আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’
কাশ্মীরের এয়ারস্ট্রিপে ভারতীয় সেনার পদার্পণের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। শ্রীনগরের কাছে বুদগামে ‘শৌর্যদিবস' উপলক্ষে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘আচার্য শঙ্করাচার্য ও বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। ১৯৪৭ সালের উদ্বাস্তুরা ন্যায় পাবেন। তাঁরা তাঁদের জমি ফেরত পাবেন। সেই দিন আর বেশি দূর নেই যখন এই স্বপ্ন পূরণ হবে। বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ সমস্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত।’ পাশাপাশি পাকিস্তানকে তোপ দেগে রাজনাথ সিং বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে কুমিরের কান্না বন্ধ করা উচিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের।’ রাজনাথের কথায়, ‘পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের বেদনা শুধু তাদের নয়, আমাদেরও কষ্ট দেয়। কাশ্মীরিয়াতের নামে জম্মু ও কাশ্মীর যে সন্ত্রাসের তাণ্ডব দেখেছে তা বর্ণনা করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানিদের দখলে যাওয়া কাশ্মীরকে রক্ষা করতে ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা। স্বাধীন ভারতের প্রথম সামরিক অভিযান ছিল সেটি। সেই অভিযানের সূচনার উদযাপনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে ‘জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন সকালের সূর্য’ বলে আখ্যা দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।