জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুরে সেনার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর চড়া করলেন রাজনাথ সিং। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে রয়েছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান। এছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও মুখ খোলেন রাজনাথ।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন,' জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি সেটি। আর তাছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছে একটি বিদেশি এলাকা ছাড়া আর কিছুই নয়।' সুর চড়া করে রাজনাথ সিং বলেন,' পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমি সন্ত্রাসের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প রয়েছে, সীমান্তের কাছে লঞ্চপ্যাড রয়েছে। এটার পাকাপোক্ত খবর রয়েছে, ভারত সরকার সব খবর পাচ্ছে।' সুর চড়িয়ে এদিন রাজনাথ সিং বলেন,'পাকিস্তানকে এইসব ধ্বংস করতেই হবে, নয়তো ডট ডট ডট…'। 'আর্মড ফোর্সেস ভেটেরান্স ডে'র আয়োজনে গিয়ে একথা বলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিনের বক্তব্যে রাজনাথ সিং, তুলে ধরেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর আমলের কথা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ১৯৬৫ সালেই লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সরকার সীমানাপারের সন্ত্রাস শেষ করতে পেরে যেতেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজনাথ বলেন,'১৯৬৫ সালে আখনুরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়। ভারত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। পাকিস্তান, ১৯৬৫ সাল থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে আসছে।' একইসঙ্গে রাজনাথ বলেন,' আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস ১৯৬৫ সালেই শেষ হয়ে যেত, কিন্তু তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার যুদ্ধে অর্জিত 'ট্যাকটিক্যাল' সুবিধাকে ‘স্ট্র্যাটেজিক্যাল’ সুবিধাতে রূপান্তর করতে পারেনি।' রাজনাথ সিং বলেন,' আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। ভারতে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীদের ৮০ শতাংশেরও বেশি পাকিস্তান থেকে।' এদিন তাঁর কথায় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার জন্যও আসে প্রশস্তিবাক্য। রাজনাথ বলেন,' আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল কাশ্মীর এবং দেশের বাকি অংশের মধ্যে যে ফাঁকা জায়গাটি রয়েছে তা পূরণ করা। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই দিক থেকে যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন...আখনুরে ভেটেরান্স ডে উদযাপন প্রমাণ করে যে আখনুর আমাদের হৃদয়ে দিল্লির মতো একই জায়গায় রয়েছে।'