হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এবার সেই ছাত্রলীগের তরফেই 'ভয়ঙ্করভাবে' বাংলাদেশের মাটিতে ফেরার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের ডিজিটাল বোর্ডে প্রদর্শিত একটি বিশেষ বার্তা সকলের নজর কেড়েছে। সেই বোর্ডে 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবারও ফিরবে ভয়ঙ্কর রূপে সাবধান! RGMSC-XR IMRAN' - এই বার্তা 'স্ক্রল' হতে দেখা গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের।
বস্তুত, সমাজমাধ্যমে সেই ডিজিটাল বার্তা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে নানা মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
একইসঙ্গে, কলেজের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে আলাদা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নানা মহল।
এদিকে, সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোমবার রাজশাহী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এদিন সকালে তাঁদের কলেজের সামনে জমায়েত করতে দেখা যায়।
যদিও পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির তরফে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে চলে যান।
'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহম্মদ জহুর আলিকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, রবিবার বিকেল ৫টা থেকে ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ প্রথম এই ঘটনার কথা তাঁরা জানতে পারেন।
সেই সময় কলেজের বাইরে কিছু লোকজনের নজরে বিষয়টি আসে। তাঁরাই কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে সচতেন করেন। অধ্যক্ষের দাবি, বিষয়টি জানার পরই তাঁরা ওই ডিজিটাল বোর্ডটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তারপরই স্থানীয় বোয়ালিয়া থানায় এই বিষয়ে একটি জেনারেল ডায়ারি করা হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এবং সেই মতোই শুরু হয়েছে তদন্তের কাজ। অন্যদিকে, কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মতিনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই সেই তদন্ত কমিটি তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত শেষ করে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ জমা করবে।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশ অনুসারেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, আইনি পথে যা কিছু করার, সেটা করবে পুলিশ প্রশাসন।