সদ্যই রাজ্যসভায় একটি নোটিস দিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ডাক দেয় বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই দাবিতে নেতৃত্বে রয়েছে কংগ্রেস। এদিকে, কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটেপড়েন। ধনখড় 'পক্ষপাত’ করেন বলেও দাবি করেন খাড়গে।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কংগ্রেস সহ বিরোধীরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বাধ্য হয়েছে। ধনখড়ের বিরুদ্ধে সুর চড়া করে তিনি বলেন,' তিনি (রাজ্যসভার চেয়ারম্যান) একজন হেডমাস্টারের মতো স্কুলিং করেন... বিরোধী পক্ষ থেকে, যখনই নিয়ম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয় - চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে আলোচনা করতে দেন না। বারবার বিরোধী নেতাদের কথা বলা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।' একইসঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন,' তাঁর বিশ্বস্ততা সংবিধান ও সাংবিধানিক ঐতিহ্যের পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি রয়েছে। তিনি তাঁর পরবর্তী পদোন্নতির জন্য সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই যে রাজ্যসভার সবচেয়ে বড় বিঘ্নকারী হলেন চেয়ারম্যান নিজেই .. '। রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করানোর জন্য দরকার ২৪৩ সদস্য়ের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তবে তা এখন নেই বিরোধীদের কাছে। বিরোধী নেতারা জোর দিয়েছিলেন যে এই প্রস্তাবটি মূলত সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষায় একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে ছিল।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে থাকা উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন,'রাজ্যসভায় নিয়মের চেয়ে রাজনীতি প্রাধান্য পেয়েছে, চেয়ারম্যান পক্ষপাতমূলক আচরণে লিপ্ত হয়েছেন।' উল্লেখ্য, এদিনও রাজ্যসভায় তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় বিরোধীদের হইহট্টোগোলের মধ্যে। বিভিন্ন ইস্যুর মধ্যে ধনখড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়েও সরব হন বিরোধীরা।