রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। কৃষি বিলের প্রতিবাদ স্বরূপ যে সাংসদরা ওয়েলে নেমে তুমুল হট্টগোল করেছিলেন। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
রবিবার দু'টি কৃষি বিল নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় চেয়ারম্যানের ডেস্কের মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলেন কয়েকজন সাংসদ। ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে দেওয়ার দৃশ্যও ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
সেই হাঙ্গামার সময় ডেপুটি চেয়ারম্যানকে রুল বুক দেখানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। পরে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে বাইরে নিয়ে যান রাজ্যসভার মার্শালরা। রবিবার অধিবেশন শেষের পর কমপক্ষে ১২ জন বিরোধী সাংসদ রাজ্যসভার কক্ষে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাশাপাশি রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনেন তাঁরা।
সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদকে কক্ষ পরিত্যাগ করতে বলা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান। নিয়ম ২৫৬-এর আওতায় সদস্যদের সাসপেন্ড করা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও সদস্য রাজ্যসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব ব্যক্তি বা মহিলার কর্তৃত্বকে অসম্মান করেন বা ক্রমাগত কাউন্সিলের নিয়ম ভঙ্গ করেন এবং তার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে কার্যধারায় বিঘ্ন ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ করতে পারবেন চেয়ারম্যান।
নিয়ম ২৫৬ (২) অনুযায়ী, যদি চেয়ারম্যান কোনও সাংসদের নাম নেন, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে প্রস্তাবের উপর প্রশ্ন করতে হবে। কোনও সংশোধনী, কোনও মুলতুবি বা কোনও আলোচনার অনুমতি দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সদস্যকে কাউন্সিলের কাজ থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া যাবে। সেই মেয়াদ সর্বাধিক সংশ্লিষ্ট অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত হতে পারে। তবে যে কোনও সময় প্রস্তাব উত্থাপন হলে কাউন্সিল এরকম সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিতে পারে। নিয়ম ২৫৬ (৩)-এ আবাার জানানো হয়েছে, এই নিয়মের আওতায় যে সদস্যদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে কাউন্সিলের সীমা ছেড়ে দিতে হবে।