রাজ্যসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই ‘রিজর্ট পলিটিক্স’ শুরু করল কংগ্রেস। রাজস্থানের সব বিধায়কদের উদয়পুরের একটি হোটেলে নিয়ে গেল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এই হোটেলেই কয়েকদিন আগে চিন্তন শিবির আয়োযিত করেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী সহ দলের সব শীর্ষ স্থানীয় নেতা এখানে এসেছিলেন। কংগ্রেসের এই ‘রিজর্ট পলিটিক্স’-এর নেপথ্যে আছে বিধায়ক কেনা বেচার ভয়।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে রাজ্যসভার নির্বাচনের আবহে পরীক্ষার সামনে কংগ্রেস। রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়নয়ন পেশের শেষ দিন মিডিয়া ব্যারন তথা এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র রাজস্থান থেকে মনোয়নয় পেশ করেন। বিজেপি জানিয়েছে যে নির্দল সুভাষকে তারা সমর্থন করবে। তবে জয় নিশ্চিত করার সংখ্যা বিজেপির কাছে নেই। রাজস্থানের মোট ৪টি রাজ্যসভার আসনের জন্য নির্বাচন হবে আগামী ১০ জুন। এর মধ্যে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত দুটি আসনে। একটি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। তবে চতুর্থ আসনের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর মধ্যে।
কংগ্রেস রাজস্থান থেকে তিনজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রমোদ তিওয়ারি। বিজেপি একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – ঘনশ্যাম তিওয়ারি। এই আবহে কংগ্রেসের ততৃতীয় প্রার্থী প্রমোদ তিওয়ারির সঙ্গে সুভাষ চন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানে এক একটি আসনে জিততে একটি প্রার্থীর প্রয়োজন ৪১টি আসন। সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭১। তার মানে ঘনশ্যামকে জিতিয়েও তাদের কাছে ৩১টি আরও ভোট থাকবে। সেই ভোট দিয়েই তারা সুভাষকে সমর্থন জানাবে। তাছাড়া কংগ্রেস সরকারকে সমর্থনকারী ১৩ নির্দল ও ছোট দলের বিধায়কদেরও ভাঙানোর চেষ্টা করবে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে হোটেলে রেখেছে কংগ্রেস।