অসমের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং শরিক ইউপিপিএল বৃহস্পতিবার অসমের থেকে দুটি রাজ্যসভার আসনই জিতেছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি একটি আসন জেতার চেষ্টায় করলেও শেষ পর্যন্ত বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরিয়ে শেষ হাসি হাসল গেরুয়া শিবির। পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও এদিন বিজেপির পবিত্র মার্গেরিতা এবং ইউপিপিএল-এর রাংওয়া নারজারি জিতে যান। কংগ্রেসের রিপুন বোরা হেরে যান।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভোটের পর টুইট করে দাবি করেন, ‘আমরা রাজ্যসভার দুটি আসনেই আমরা (একটি বিজেপি ও একটি আমাদের শরিক দল ইউপিপিএল) বড় ব্যবধানে জিতেছি। একটি আসনে ১১ ভোটে আরও একটি আসনে ৯ ভোটে জিতেছি আমরা।’ উল্লেখ্য, মার্গেরিতা ৪৬ ভোট এবং নারজারি ৪৪ ভোট পান। এদিকে কংগ্রেসের রিপুন বোরা মাত্র ৩৪ ভোট পান। দু’টি ভোট বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১২৬ সদস্যের বিধানসভায় মোট ৮২টি ভোট ছিল শাসক জোটের পক্ষে। এদকে একজন প্রার্থীকে জিততে ন্যূনতম ৪৩টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। এই আবহে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষে দ্বিতীয় আসনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল। দ্বিতীয় আসনটি জেতার ক্ষেত্রে চার ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসক জোট। কিন্তু বিরোধী দলে ফাটল ধরায় উভয় আসনেই জয় পেল শাসক জোট।
কংগ্রেস, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এবং রাজ্যের দল বিরোধী ঐক্যের চিহ্ন হিসাবে একটি আসনের জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বোরাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কংগ্রেসের ২৬ বিধায়ক, এআইইউডিএফ-এর ১৫ বিধায়ক, সিপিএম-এর ১ এবং রাজ্যের দলের একজন বিধায়ক মিলে ৪৩টি ভোট হয়ে যেত। তবে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরায় বিজেপি ও শরিক দল দুটি আসনেই জয়লাভ করে। এআইইউডিএফ-এর বদরুদ্দি আজমল অভিযোগ করেন যে কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই চরম নাটক ও অভিযোগের মাঝেই হিমন্তের মুখে শেষ হাসি ফুটল পড়শি রাজ্যে।