রাজ্যসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির মুক্তার আব্বাস নকভি এবং জেডিইউ-এর আরসিপি সিং এবার রাজ্যসভার টিকিট পাননি। তবে আপাতত তাঁরা দুই জনেই মন্ত্রী থাকছেন। মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে রামপুর লোকসভার উপনির্বাচনে নকভিকে দলীয় প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। আরসিপি সিংয়ের অবস্থা অবশ্য পরিষ্কার নয়। উভয়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুলাইয়ে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য না হয়েও ছয় মাস মন্ত্রী থাকা সম্ভব।
রাজ্যসভায় মোদী সরকারের চার মন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে তিনজন বিজেপির এবং একজন জেডিইউর। বিজেপি নির্মলা সীতারামন এবং পীযূষ গোয়েলকে আবারও রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু নকভিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এদিকে জেডিইউ তাদের একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংয়ের জায়গায় খিরু মাহতোকে প্রার্থী করেছে। এই আবহে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
নকভি বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার সাংসদ এবং আরসিপি সিং বিহার থেকে রাজ্যসভার সাংসদ। সূত্রের খবর, রামপুর লোকসভা উপনির্বাচনে নকভিকে প্রার্থী করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। এসপি নেতা আজম খান বিধায়ক হওয়ার পর লোকসভা থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। এমন পরিস্থিতিতে সংসদে যাওয়ার বিকল্প থাকবে নকভির। নকভি ১৯৯৮ সালে এখান থেকে লোকসভা সাংসদ হয়েছিলেন। রামপুর আসন থেকে নকভি একবার জিতেছেন এবং দুবার হেরেছেন। তবে আরসিপি সিংয়ের জন্য সমস্যা হতে পারে।
সূত্রের খবর, জুলাই পর্যন্ত তাদের দুজনকেই মন্ত্রী হিসেবে রাখবে সরকার। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে আসন্ন রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কৌশলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি জেডি(ইউ) আরসিপি সিংকে মন্ত্রী হিসাবে রাখতে না চায়, তবে বিজেপি তাঁকে মন্ত্রী পদে বহাল রাখবে না। সেই সঙ্গে আরসিপি সিং কী পদক্ষেপ নেন, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হবে। এক সময় আরসিপি নীতীশ কুমারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে আরসিপির বিজেপি সখ্যতার কারণেই তিনি রাজ্যসভার টিকিট পাচ্ছেন না বলে মনে কার হচ্ছে।