মারা গেলেন রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। বিগত কিছুদিন ধরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেখানেই শনিবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টির নেতা।
এক সময় দিল্লির অন্যতম শক্তিকেন্দ্র ছিলেন এই নেতা। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যুক্ত হলেও সব দলের নেতাদের সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্যতা। বলিউডে বচ্চন পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। কিন্তু এক সময় সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যোগ ছিন্ন হয় তাঁর। তারপর থেকেই কিছুটা হলেও রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারান এই নেতা। ২০১১ সালে টাকার বিনিময় ভোট স্ক্যামে কিছুদিন জেলেও ছিলেন তিনি। তারপর ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দল গঠন করে ভোটে লড়েন তিনি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এরপর আরএলডি দলে যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালে নির্দল প্রার্থী হিসাবে সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে জিতে ফের দিল্লির রাজনীতিতে ফেরেন অমর। ফের রাজ্যসভায় প্রত্যাবর্তনে মনে হচ্ছিল হয়তো আবার সক্রিয় হবেন এই সদাহাস্য নেতা। কিন্তু শরীরটা সায় দিচ্ছিল না। হালে অবশ্য অমর সিং অনেকটাই বিজেপির দিকে ঝুঁকছিলেন
২০১৩ সালে কিডনি ফেলিওরের পর থেকেই অশক্ত তাঁর শরীর। গত কয়েক মাস ছিলেন সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে। শেষের কিছুদিন আইসিইউ-তে। পাশে ছিল তাঁর পরিবার। এদিন সকালেও তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ইদের শুভেচ্ছা ও তিলকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মার্চ মাসে তিনি একটি ভিডিও বানান তাঁর মৃত্যু নিয়ে গুজব খণ্ডন করতে। ২২ মার্চ হাসপাতাল থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করতে ভিডিও করেন তিনি। অমর সিংয়ের মৃত্যুতে একজন বর্ণময় চরিত্র মুছে গেল ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে।