দীর্ঘ আন্দোলন। শীত গ্রীষ্ম, বর্ষাকে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন ধরে আন্দোলনকে বজায় রাখার দৃঢ়তা। এতদিনে সেই আত্মত্যাগের ফল পেলেন কৃষকরা। কোনও আলোচনা ছাড়াই সোমবার কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল রাজ্য সভায়। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলকে উপেক্ষা করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই বিল বাতিলের প্রস্তাব আনেন। তিনি জানিয়ে দেন এনিয়ে কোনও আলোচনার প্রয়োজন নেই, কারণ সকলেই এই বিল বাতিলের পক্ষে রয়েছেন। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই বিনা আলোচনায় কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল সংসদে।
এদিকে কংগ্রেস নেতৃত্ব মল্লিকার্জুন খার্গে জানিয়েছেন, এই কৃষি আইন লাগু করার ফলাফল কী হতে পারে তা উপনির্বাচনের ফলাফলেই টের পেয়েছে এনডিএ সরকার। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারত। সেকারণেই আর ঝুঁকি নিতে চাইল না সরকার। পাশাপাশি বিরোধীরা এদিন স্মরণ করিয়ে দেন এই বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে।এদিকে এই বিল বাতিলের প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পরে আধঘণ্টার জন্য সংসদ মুলতুবি রাখা হয়।
এদিকে গুরুনানক জয়ন্তীর দিনই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন তিনটি কৃষি আইনই বাতিল করা হবে। বছর খানেক ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে প্রত্যাহার করার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তারপরেও অবশ্য ফসলের ন্যুনতন দাম পাওয়ার দাবিতে আইন করার আবেদন জানিয়ে আন্দোলন আজও অব্যাহত।