সারা দেশে হওয়া রাজ্যসভা ভোটে বড় কোনও চমক নেই। জিতেছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে নিজেদের ঘর বাঁচাতে পারলেও গুজরাতে একটি আসনে হেরেছে কংগ্রেস, যেখানে কিছুদিন আগেও জয়ের জায়গায় ছিল দল। মণিপুরে স্পিকারের বদান্যতায় মান বাঁচিয়েছে বিজেপি।
মণিপুরে ৫৯ জনের মধ্যে ৫২ জন ভোট দিয়েছেন। ২৮টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাজা সানাজাওবা লেইশেমবা। যে সাত জন কংগ্রেস বিধায়ক বিধানসভায় ঢুকতে পারছিলেন না আদালতের রায়ে, তাদের মধ্যে যে জন বিজেপির পক্ষে, তাদেরকে ভোট দিতে অনুমতি দেন স্পিকার। বাকিদের ছাড় দেওয়া হয় নি।
রাজস্থানে হিসাব মতোই কংগ্রেস দুটি ও বিজেপি একটি আসন পেয়েছে। সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও দলিত প্রার্থীকে হারাতে বিজেপি অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। রাহুল ঘনিষ্ট কেসি ভেনুগোপাল রাজ্যসভায় গেলেন রাজস্থান থেকে।
মধ্যপ্রদেশে জিতেছেন দুই হেভিওয়েট দিগ্বিজয় সিং ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে এবার তারা বসবেন ভিন্ন প্রান্তে। মোট দুটি আসন পেল বিজেপি, একটি কংগ্রেস রাজ্যে।
ঝাড়খণ্ডে জিতেছেন গুরুজি শিবু সোরেন। অন্য আসনটি পেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্ধ্রে চারটি আসনই জগন রেড্ডির খাতায়।
গুজরাতে বিজেপির দাবি মতোই তিনটি আসন জিতেছে গেরুয়া দল। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শক্তিসং গোহিল এবার গুজরাত থেকে যাবেন উচ্চকক্ষে। প্রদীপসিং সোলাঙ্কি যদিও কংগ্রেসের টিকিটে হেরে গেলেন।
মেঘালয়ের একমাত্র আসন পেয়েছে মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স। এমএনএফ প্রার্থী জিতেছেন মিজোরামে। কোভিডের জন্য রাজ্যসভা নির্বাচন পিছিয়ে গেছিল। অবশেষে সেটি সম্পন্ন হল। এদিন বেশ কিছু রাজ্যে বিধায়কদের পিপিই কিট পরে আসতে দেখা যায়, বিশেষত যারা করোনা আক্রান্ত। কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভেঙেছেন গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়ক ওয়াজিব আলি, সেই অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে করেছিল বিজেপি। যদিও লাভ হয়নি।