বিশাল কান্ত:
পয়গম্বর বিতর্কের জের। শুক্রবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাঁচি। দুজনের মৃত্যু হয়। আটজন জখম হয়েছিলেন। আর তার জেরে শনিবারও এলাকা ছিল থমথমে।
এদিকে মৃত মুদাস্সর আলিয়া কাইফি ও মহম্মদ শাহিলের দেহ এদিন পুলিশ পাহারায় আলাদাভাবে কবরস্থ করা হয়। পুলিশের দাবি, শুক্রবার মহাত্মা গান্ধী রোডে ১৪জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। এদিকে আরআইএমএসের সুপার ডঃ হীরেন্দ্র বিরুয়া জানিয়েছেন, মৃত দুজনের দেহ ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কী পাওয়া গিয়েছে তা এখন বলা যাবে না।আহতদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে মৃতদের পরিবারের একাংশের দাবি শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মহম্মদ আফসার নামে এক জখম ব্যক্তি। তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। ৬টি বুলেটের আঘাত লেগেছে শরীরে।
আফসার বলেন, হনুমান মন্দিরের কাছে পার্কিং স্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন পুলিশ অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালায়। আমি ভাবতে পারিনি পুলিশ গুলি চালাবে। আমার দুপায়ে গুলি লেগেছে। ডাক্তার ইতিমধ্যেই চারটি গুলি বের করেছে। এখনও দুটি গুলি শরীরে রয়েছে। এদিকে আফসারের পাশে আরও তিনজন রয়েছে। তাদেরও শরীরের নীচের অংশে জখম হয়েছে।
২২ বছরের জখম যুবক তাবারাক আনসারির বাবা মামুন আনসারি জানিয়েছেন, কোমরের নীচে বুলেট লেগেছে। কী করতে ও ওখানে গিয়েছিল জানি না।
এদিকে রাঁচি পুলিশের সিনিয়র সুপারন্টেডেন্ট সুরেন্দ্র ঝাঁ নিজেও জখম হয়েছেন। নার্সিংহোমে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের ১৪জন জখম হয়েছেন।আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছি। আমরা সিসি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখছি। এফআইআর করার উদ্যোগ নিচ্ছি। তিনি বলেন, ওরা প্রথম গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে।