রাজ্যসভায় একঝাঁক নয়া সদস্যের অন্তর্ভুক্তির পর বড়সড় পরিবর্তন হল সব সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতেই। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য করা হল। আবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ঠাঁই পেলেন অপর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
সংসদের মোট ২৪ টি কমিটিতেই রদবদল হয়েছে। তার মধ্যে আটটি কমিটির শীর্ষে থাকেন রাজ্যসভার সদস্যরা। বাকি ১৬ কমিটির দায়িত্বে থাকেন লোকসভার সাংসদরা। বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বিদেশ, কৃষি, পেট্রলিয়াম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিল্প বিষয়ক কমিটিতে একজন করে নয়া সদস্য এসেছেন। শক্তি বিষয়ক কমিটিতে সর্বোচ্চ ছ'জন নয়া মুখ ঠাঁই পেয়েছেন। নগরোন্নয়ন এবং সামাজিক বিচার কমিটিতে পাঁচ জন করে সদস্যকে মনোনীত করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়ক প্যানেলে এসেছেন ইউপিএয়ের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই প্যানেলে নয়া চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা বিনয় সাহসরাবুদ্ধে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যে প্যানেলের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নয়া শিক্ষানীতি, স্থগিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, অনলাইন ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিজেপির ভুবনেশ্বর কলিতা, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেসের (এম) জি কে ভাসান এবং এআইডিএমকের থাম্বি দুুরাই।
প্রাক্তন কয়লামন্ত্রী শিবু সোরেন ঠাঁই পেয়েছেন কয়লা ও লোহা বিষয়ক কমিটিতে। স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে এসেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে ছাড়া নয়া সদস্যদের কোনও না কোনও কমিটিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য এবং ক্রেতা বিষয়ক কমিটিতে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাণিজ্য কমিটিতে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, নগরোন্নয়ন কমিটিতে দিগ্বিজয় সিং, পরিবহন প্যানেলে কে সি ভেনুগোপালরা জায়গা পেয়েছেন। তবে কমিটিতে ঠাঁই পেলেও শপথ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্যানেলের কোনও কাজে যোগ দিতে পারবেন না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া-সহ ১৬ জন সাংসদ।