সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও। সেই মামলার তদন্তেই এবার উঠে এল নতুন তথ্য। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতর জানিয়েছে, জেরায় অভিনেত্রী বলেছেন, তাঁর এবারের দুবাই ভ্রমণ আদৌ পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। বরং যাত্রার ঠিক আগে উড়ো নম্বর থেকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিল অপরিচিত ‘পুরুষ কণ্ঠ’।
আরও পড়ুন -Actor Ranya Rao: শরীরে সোনা লুকানোর কৌশল শিখেছেন ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে, দাবি রান্যা রাওয়ের
রানিয়া রাও জানিয়েছেন, গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরু থেকে দুবাই যান তিনি। তবে এবারের যাত্রার শুরুটা হয়েছিল রহস্যময় একটি কলের মাধ্যমে। গত ১ মার্চ তাঁর কাছে একটি অজানা বিদেশি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ তাঁকে নির্দেশ দেন, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের গেট থেকে একটি প্যাকেট সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দিতে হবে। ফোনগুলি সন্দেহজনক হলেও গোপনীয়তা বজায় রাখতে পুলিশকে জানাননি তিনি। দুবাই বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছেন ধৃত অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় ওই পুরুষের উচ্চারণ অনেকটা আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো ছিল। ওই ব্যক্তি তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে সাদা পোশাক পরা ৬ ফুট ‘লম্বা, সুগঠিত চেহারার ব্যক্তির’ সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। ওই দ্বিতীয় ব্যক্তিই অভিনেত্রীকে ত্রিপলে মোড়ানো দু’টি প্যাকেট দেন। এরপর বিমানবন্দরের শৌচাগারে ঢুকে রানিয়া দেখেন, প্যাকেটগুলির মধ্যে রয়েছে ১২টি সোনার বার। তারপর ইউটিউব ভিডিও অনুসরণ করে, আঠালো টেপ এবং টিস্যু পেপারের সাহায্যে কোমরের চারপাশে বেঁধে ফেলেন সোনার বারগুলি। আরও কিছু বার নিজের জুতোর তলার নীচে এবং জিন্সের পকেটে লুকিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন -Actor Ranya Rao: শরীরে সোনা লুকানোর কৌশল শিখেছেন ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে, দাবি রান্যা রাওয়ের
বেঙ্গালুরুতে নামার পর রানিয়াকে টোল গেট থেকে বেরিয়ে সার্ভিস রোডের কাছে অপেক্ষারত একটি অটোতে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সোনার বারগুলি হস্তান্তর করার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই ধরা পড়ে যান অভিনেত্রী। ওই অটোর কোনও নম্বরও আগে থেকে জানানো হয়নি তাঁকে।অভিনেত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই। গত ৩ মার্চ গ্রেফতার হন রানিয়া। তল্লাশিতে অভিনেত্রীর জামা এবং বেল্টের মধ্যে থেকে বেরিয়েছিল অন্তত ১৪ কেজি সোনা। তাঁর উপর বেশ কয়েক দিন ধরেই নজর ছিল গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, গত দু’সপ্তাহের মধ্যে অন্তত চার বার দুবাই গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অথচ গোয়েন্দারা খবর নিয়ে জানতে পারেন, দুবাইয়ে রানিয়ার পরিবারের কোনও সদস্য থাকেন না। উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর বাবা রামচন্দ্র রাও একজন আইপিএস অফিসার। বছর কয়েক আগে ম্যাইসুরুতে একটি সোনা পাচারের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁরও। এবার ওই অফিসারের কন্যাই ধরা পড়লেন সোনা পাচার মামলায়।