ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিয়ে ‘একবছরের মধ্যে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার’ নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রেমিকা ছিলেন নির্যাতিতা। তবে নিজের প্রেমিকাকে ছেড়ে চলে যান অভিযুক্ত। এরপরই ধর্ষণের মামলা রুজু করেন সেই প্রেমিকা। এই আবহে অভিযুক্তকে ‘নির্যাতিতা গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করার শর্তে’ জামিন দিল উচ্চ আদালত।
জানা গিয়েছে, তরুণী এবং অভিযুক্ত উভয়ই সহসম্মতিতেই সম্পর্কে ছিলেন। তবে সেই যুবতী যখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন এবং তাঁকে ছেড়ে চলে যান অভিযুক্ত। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর অভিযুক্ত আদালতে জানান, তিনি তরুণী তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি এবং সেই সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করতেও রাজি। তবে আদালত জানায়, অভিযোকারী সেই সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এবং এখন তাঁর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি সেই তরুণীকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
এই আবহে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি ভারতী দাঙরে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি অভিযুক্তকে এই শর্তে জামিন দিচ্ছি যে সেই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া গেলে একবছরের মধ্যে তাঁকে বিয়ে করবেন তিনি। তবে এর জন্য একবছরের বেশি সময় দেওয়া হবে না অভিযুক্তকে।’ মামলার চার্জশিট অনুযায়ী, তরুণী তরুণী এবং অভিযুক্ত প্রতিবেশী ছিলেন। এবং উভয়ের পরিবারের জ্ঞানেই তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। এই সময় পাঁচ থেকে ছ’বার সঙ্গমে লিপ্ত হন দু’জনে। এরপর সেই তরুণী গর্ভবতী হয়ে যান। ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই তরুণী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এর তিনদিন পর সেই তরুণী নিজের সন্তানকে ফেলে রেখে কোথাও চলে যান। এই আবহে সেই শিশুকে অন্য কেউ দত্তক নিয়ে নেন। এই আবহে তরুণী অভিযোগ দায়ের না করলেও সেই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়। এরপরই জামিনের আবেদন করে যুবক দাবি করেন, তিনি সেই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি।