স্বামীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের এক মহিলা। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ৩ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। এবং তাঁর স্বামীই এই সব কাণ্ডের মূল চক্রী। সেই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী টাকার বিনিময় বন্ধুদের ধর্ষণ করতে দেয় তাঁকে। সেই ধর্ষণের আবার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। সেই ভিডিয়ো তাঁর স্বামীর কাছে পাঠানো হয়। অভিযোকারীর স্বামী সৌদি আরবে থাকে কর্মসূত্রে। সেখানে বসেই নাকি ভিডিয়োতে স্ত্রীর ওপর এই অত্যাচারের ঘটনা দেখে সে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই মহিলা।
জানা গিয়েছে, অভিযোকারী মহিলার বয়স ৩৫ বছর। তিনি বর্তমানে একমাসের গর্ভবতী। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্বামীর সঙ্গে চার সন্তান আছে - দুই ছেলে (১৩ এবং ৩ বছরের), দুই মেয়ে (১১ এবং ৭ বছরের)। সৌদি আরবে তাঁর স্বামী গাড়ির মেকানিক হিসেবে কাজ করে। বছরে দু'বার সে বাড়ি আসে। নিজের অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ৩ বছর আগে একবার নিজের বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি আসে তাঁর স্বামী। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করতে 'অনুমতি' দেয় বন্ধুদের। তাঁর স্বামীর দু'জন বন্ধু এসেছিল। দু'জনেই বুলন্দশহরে তাদের এলাকাতেই থাকত।
এরপর থেকে শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। নির্যাতিতার স্বামী বিদেশে থাকাকালীনও সেই দুই ব্যক্তি তাদের বাড়ি আসত এবং মহিলাকে ধর্ষণ করত। সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে স্বামীকে পাঠিয়ে দিত তারা। এই নিয়ে যখন আমি আমার স্বামীর কাছে অভিযোগ জানাই, তখন সে আমাকে মুখ বন্ধ করে থাকতে বলে। সে জানায়, স্ত্রীকে ধর্ষণের বদলে তার বন্ধুরা তাকে টাকা দেয়। নির্যাতিতা বলেন, 'এতদনি ধরে আমি আমার সন্তানদের কথা ভেবে চুপ করে ছিলাম। আমার স্বামী আমাকে বিবাহবিচ্ছেদের ভয় দেখাত।'
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বুলন্দশহরের এসএসপি শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত হবে। এদিকে নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেন, গ্রেফতারি এড়াতে বোনের স্বামী এবং অভিযুক্তরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। নির্যাতিতার ভাইয়ের কথায়, 'এতদিন ধরে একা একা সব কিছু সহ্য করেছে আমার বোন। পরিবারের কথা ভেবে সে কিছু বলেনি। দুই সপ্তাহ আগে ওর স্বামী এসেছে দেশে। ওদের বড় ঝামেলা হয়। এই আবহে সে নিজের অধিকারের জন্যে লড়াই করার সাহস পেয়েছে।'