এই মর্মান্তিক ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে রাজস্থানের সানসি উপজাতির কুকাড়ি প্রথা। এই উপজাতির নিয়ম অনুযায়ী, কোনও মহিলা যদি ধর্ষণের শিকার হন বা অত্যাচারিতা হন যৌন নিগ্রহের জেরে , তাঁহলে তাঁকে ‘পবিত্রতার পরীক্ষা’ দিতে হবে। এই 'পবিত্রতার পরীক্ষা' এলাকায় ‘কুকাড়ি প্রথা’ হিসাবে পরিচিত।
কুকাড়ি প্রথা ঘিরে এক ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে পবিত্রতার পরীক্ষা দিতে বলা হয়। আর সেই পরীক্ষায় তরুণী বিফল হতেই তাঁর ওপর চলে অত্যাচার। তাঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয় তাঁর স্বামীর পরিবারের কাছে। এই নিদান আসে খাপ পঞ্চায়েতের তরফে। পুলিশ বলছে, তরুণী এর আগে তাঁর প্রতিবেশীর হাতে ধর্ষিতা হন। আর তার অভিযোগ, তিনি পুলিশে দায়ের করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ১১ মে তাঁর বিয়ে হয়। তরুণীর শ্বশুরমশাই হেড কনস্টেবল। তিনি গোটা বিষয়টি জানতেন। আর সেই মতো সানসি উপজাতির নিয়মে বিয়ের পর তরণীকে ‘কুকাড়ি প্রথা’য় পবিত্রতার পরীক্ষা দিতে বলা হয়। এই প্রথার আওতায় তরুণীর স্বামীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ইজরায়েলের গুলিতে সাংবাদিকের ‘সম্ভবত’ মৃত্যু ,তবুও জওয়ানরা অভিযুক্ত নয়!
এককালে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলছেন, তিনি ভয়ে ধর্ষণের কথা জানাননি। এরপর তাঁকে কুকাড়ি প্রথায় পবিত্রতার প্রমাণ দিতে বলা হয়। সেই পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হতেই তাঁকে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি বেধড়ক মারধর করেন বলে জানান তরুণী। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। আইপিসির ৩৪৮,৫০৯,৪৯৮ ধারায় মামালা দায়ের হয়। ১২০ এর বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ দায়ের করা হয়।