সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। এর আগে এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের দুই ব্যক্তি। এই আবহে এই রোগ সম্পর্কে ক্রমেই ভীতি বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মার্কিন সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত মার্কিন নাগরিক কয়েকদিন আগেই নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন। বর্তমানে ড্যালাস-এর একটি হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে এই রোগের রেকর্ড রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট থেকে এই রোগের সংক্রমণ হতে পারে। অন্যান্য পক্সের তুলনায় এতে সারা দেহে অনেক বেশি ব়্যাশ বের হয়। সেই সঙ্গে তীব্র জ্বর, সর্দি, সারা দেহে যন্ত্রণা।
১৯৭০ সালে প্রথম পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণের কথা মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার বেশ কয়েকজন মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ মেলে। এরপর ফের ২০১৭ সালে নতুন করে মাঙ্কিপক্সের কথা জানতে পেরেছিল বিশ্ব। এই সংক্রমণ ধরা পড়েছিল নাইজেরিয়ায়। গুটিবসন্তের গোত্রেরই ভাইরাস এই মাঙ্কিপক্স। তবে গুটিবসন্তের এর সংক্রমণের মাত্রা কম। মাঙ্কিপক্সের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১২ দিন পর মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা এবং ক্লান্তি ভাব দেখা যায় বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি।
কাঠবিড়ালি বা ইঁদুর এই মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বাহক। এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে ৩ দিন পর থেকে দেহে র্যাশ বেরোবে। তাছাড়া আক্রান্তের শরীরে হাল্কা জ্বরও থাকবে। পরে সেই র্যাশ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। র্যাশের কারণে চুলকানিও হবে। এর জেরে রোগী ক্লান্ত থাকবেন ২-৪ সপ্তাহ। তবে এই রোগের বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। মাঙ্কিপক্সের চিকিত্সায় গুটিবসন্তের টিকা সিডোফোভির, এসটি-২৪৬ এবং ভ্যাকসিনিয়া ইমিউন গ্লোবিউলিন ব্যবহার করা যেতে পারে।