রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্টের বোর্ডে হেরফের হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, রতনের তিন সৎ ভাই-বোনেরা বোর্ডে যোগ দেবেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, শিরীন জিজিভয়, ডিয়ান জিজিভয় এবং নোয়েল টাটা। উল্লেখ্য, রতন টাটার আর্থিক বিনিয়োগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গঠন করা হয়েছিল রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট। এই আবহে তাঁর তিন সৎ ভাই-বোন এই দুই বোর্ডে যোগ দেওয়ার অর্থ, রতন টাটার আর্থিক বিনিয়োগের ওপর টাটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এদিকে রতন টাটার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকাংশটাই দান করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির মধ্যে থেকে ৫০০ কোটি টাকা পেতে চলেছেন জামশেদপুরের বাসিন্দ মোহিনী মোহন দত্ত। কিন্তু এই রতন টাটা আবার নিজের উইলে নোয়েল টাটার উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। তবে ভাই জিমির জন্যে সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন রতন টাটা। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহিনী মোহনের তুলনায় জিমির প্রাপ্য সম্পত্তির পরিমাণ খুবই কম। জানা গিয়েছে, জিমি মাত্র ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি পাবেন রতনের উইল অনুযায়ী।
অপরদিকে রতন টাটার উইল বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন আইনজীবী দারিয়াস খাম্বাটা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী মেহলি মিস্ত্রি।এছাড়াও রতনের সৎ বোন শিরিন এবং ডিয়ান্না জিজিভয়ও এই দায়িত্ব পাল করবেন। স্যার জমশেদজি জিজিভয়ের সঙ্গে রতনের মা সুনুর বিয়ের পরে শিরিন এবং ডিয়ান্নার জন্ম। রতন টাটা দুই সৎবোনের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে অ্যাডভোকেট দারিয়াস খাম্বাটা রতন টাটার উইল ড্রাফট করতে সাহায্য করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মিন্টের রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২২ সালে হুরুন ইন্ডিয়া লিস্ট অনুযায়ী, রতন টাটা ভারতের ৪২১তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। প্রয়াণকলে রতন টাটার সম্পত্তির মধ্যে ছিল টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদাত্ব। সেই অংশীদারিত্ব যাবে রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে। তাঁর নামে সেই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবে ওলা, পেটিএম, লেন্সকার্ট, জিভামে, স্ন্যাপডিলের মতো স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছিলেন রতন টাটা। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমেরিটাস পদে থাকাকালীন রতন টাটা বছরে বেতন নিতেন আড়াই কোটি টাকা। তাঁর সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হল ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। এছাড়াও আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো এবং মুম্বইয়ের জুহু তারা রোডে দু'তলা একটি বাড়ি। তাঁর এই সব সম্পত্তি যাঁকে যা দিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা তাঁরা হাতে পাবেন বেশ কয়েক মাসের আইনি প্রক্রিয়ার পরে।