বিশ্বের প্রথম আকাশযাত্রী ছিলেন রাবণ। তিনিই প্রথম আকাশে ওড়ার বিদ্যা রপ্ত করেন। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছে শ্রী লঙ্কা সরকার। শুধু তাই নয়, ৫ বছরের মধ্যে এই তত্ত্ব প্রমাণ করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
হিন্দু মহাকাব্যে লঙ্কাপতি রাক্ষসরাজ রাবণের চরিত্র খলনায়কের হলেও শ্রী লঙ্কার মহাকাব্যে তিনি বিদগ্ধ ও বিচক্ষণ শাসক হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। এর মধ্যে আরও অনেক আঙ্গিক থাকলেও মোটামুটি এটাই সাধারণ ধারণা। তবে রামায়ণের দু’টি সংস্করণেই বলা হয়েছে, প্রায় ৫,০০০ বছর আগে লঙ্কা থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজের পুষ্পকরথে চেপে বায়ুপথেই পৌঁছেছিলেন রাবণ। এবার আকাশে ওড়ার প্রাচীন সেই প্রযুক্তি উদঘাটনে নেমেছে শ্রী লঙ্কা সরকার।
সম্প্রতি শ্রী লঙ্কার বেসরকারি উড়ান মন্ত্রক থেকে এই বিষয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে। কারও কাছে রাবণের আমলে বায়ুপথে সফর বা বায়ুযান সংক্রান্ত কোনও নথিপত্র থাকলে তা অবিলম্বে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে শ্রী লঙ্কার বেসরকারি উড়ান মন্ত্রক। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে: মহারাজ রাবণ এবং প্রাচীনকালে আকাশপথে অধুনালুপ্ত যাত্রাপথ।
প্রকল্পের অধীনে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য জমা হলে তার ভিত্তিতে দেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে গবেষণা চালাবে শ্রী লঙ্কার পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
সম্প্রতি শ্রী লঙ্কা অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের ভাইস চেয়ারম্যান শশী দন-তুঙ্গে বলেছেন, ‘মহারাজ রাবণ একজন ক্ষণজন্মা প্রতিভা ছিলেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি আকাশে উড়েছিলেন। তিনি ছিলেন নভোশ্চর। শুধু পৌরাণিক কাহিনী নয়, এটা সত্যি কথা। এই বিষয়ে সবিস্তারে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা এই তত্ত্ব প্রমাণ করব।’