ব্যাঙ্কিং জগতে নগদের জোগান বাড়াতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। যে পদক্ষেপের ফলে ব্যাঙ্কিং জগতে ১.৫ লাখ কোটি টাকা নগদ ঢেলে দেওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, নগদের জোগান বাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিন দফায় 'গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ' কেনা হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারিতে প্রথম দফা, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফা এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয় দফার প্রক্রিয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ৫৬ দিনের ভ্যারিয়েবল রেপো রেটের নিলাম হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। আর তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন ডলার বা ভারতীয় রুপির ক্রয় বা বিক্রির চুক্তির প্রক্রিয়া হবে। যা আয়োজিত হবে ৩১ জানুয়ারি।
পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে, বলল আরবিআই
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি পদক্ষেপের ফলে ব্যাঙ্কিং জগতে নগদের জোগান কতটা বৃদ্ধি পায়, কী পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটার উপরে নজর রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে প্রতিটি পদক্ষেপ করা হবে, সেটা নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তারিত নির্দেশ প্রকাশ করা হবে।
এবার সুদ কমিয়ে দেওয়া হবে?
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে,আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে আরবিআই যে পদক্ষেপ করল, তা সুদের হার কমানোর পূর্ববর্তী কৌশল। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ প্রাইমারি ডিলারশিপের রিসার্চ বিভাগের হেড এ প্রসন্ন বলেছেন, 'বাজারে যে জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেগুলির উত্তর দিল আরবিআই। আমার মতে, সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি পরবর্তী যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে।'
তাঁর মতে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে যে সব পদক্ষেপের ঘোষণা করা হল, তাতে মনে হচ্ছে যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে আরবিআই আত্মবিশ্বাসী। যে আরবিআই ৭ ফেব্রুয়ারি নিজেদের সংশোধিত আর্থিক নীতির ঘোষণা করবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাজেটের ছয়দিন পরে সেই নীতি প্রকাশ করবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ কেটে গিয়েছে?
একইসুর ধরা পড়েছে সাউথ ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ট্রেজারির যুগ্ম জেনারেল ম্যানেজার রীতেশ বুসারি জানিয়েছেন, আরবিআই যে পদক্ষেপ করেছে, তা ইঙ্গিত করছে মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ কেটে গিয়েছে। আর আর্থিক নীতি সহজতর করে তোলার কাজ শুরু করবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।