করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে চলতি অর্থবর্ষের (২০২১-২২) জিডিপির পূর্বাভাস। তা সত্ত্বেও দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর আরবিআই গভর্নর জানান, আচমকা করোনার সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি যে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তাতে আবারও জোরালো ধাক্কা লেগেছে। তবে অর্থনীতির সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা যে একেবারে ধসে গিয়েছে, তা নয়। বরং দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার মধ্যেও সামগ্রিক জোগান যথেষ্ট দৃঢ়তা দেখিয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধির প্রবণতা এখনও আছে। তাতে ভর করেই দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, নিকৃষ্টের জন্য পরিকল্পনা চালিয়ে যাবে আরবিআই। বজায় রেখে যাবে সর্বোত্তমের আশা। ‘চিরাচরিত ধারার বাইরে গিয়ে আরবিআই চিন্তাভাবনা চালিয়ে যাবে এবং কাজ করতে থাকবে।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর আশাপ্রকাশ করলেও কাজটা যে বাস্তবে কঠিন, তা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের জিডিপির পূর্বাভাসেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত এপ্রিলে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১০.৫ শতাংশে রেখেছিল আরবিআই। এবার তা কাটছাঁট করে ৯.৩ শতাংশ করা হয়েছে। আরবিআই গভর্নর জানিয়েছেন, প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৯.৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৭.৯ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৭.২ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তারইমধ্যে রেপো রেট (যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) এবং রিভার্স রেপো রেট (যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ নেয়) অপরিবর্তিত রেখেছে আরবিআই। অর্থনীতিবিদদের মতে, এখন রেপো রেটে কোনও হেরফের করে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি আরবিআই। আগামিদিনে কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। তাই ধীরে চলো নীতি নেওয়া হয়েছে।