লকডাউনের মেয়াদকালে ঋণের কিস্তি না চোকালেও গ্রাহকদের কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ ঋণের ওপর মোরেটোরিয়াম ঘোষণা করেছে আরবিআই। কিন্তু এর ফলে পরে বেশি সুদ দিতে হবে গ্রাহকদের কারণ এই মেয়াদকালের সুদও জমা হয়ে যাবে। এর বিরুদ্ধে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই প্রসঙ্গে নিজেদের মতামত জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আরবিআই জানিয়েছে যে তারা ঋণের ওপর সুদ মুকুব করার পক্ষপাতী নয় কারণ এতে ব্যাঙ্কগুলির ওপর আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। ঋণের ইএমআই দেওয়ার ওপর মার্চ ১ থেকে অগস্ট ৩১ অবধি মোরেটোরিয়াম দিয়েছে আরবিআই। কিন্তু এই সময়ে অদেয় ঋণের ওপর সুদ দিতে হবে গ্রাহকদের। এর বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা করেছেন গজেন্দ্র শর্মা নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন যে লকডাউনের সময় মানুষের পক্ষে রোজগার করা সম্ভব নয়। তাহলে সুদ নেওয়া হচ্ছে কেন। একটি দোকান চালান গজেন্দ্র। তাঁর আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩৭ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া আছে। এই পিটিশনের ভিত্তিতে আরবিআইকে নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরবিআই নিজেদের উত্তরে বলেছে যে তারা মনে করে না যে জোর করে সুদ মুকুবের পথে যাওয়া উচিত। এতে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক অবস্থা বেহাল হবে ও লগ্নিকারীরা সংকটে পড়বেন বলে মনে করে আরবিআই। যারা টাকা রেখেছেন তাদের স্বার্থ রক্ষা করা ও ব্যাঙ্কদের আর্থিক স্থায়িত্ব দেখার কাজ তাদের, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এই দ্বিতীয় কাজের জন্য এটা প্রয়োজনীয় যে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও তারা লাভ করে। ঋণের ওপর সুদ ব্যাঙ্কগুলির আয়ের একটি বড় পথ যেটা তাদের আর্থিক ভাবে স্থিতিশীল ও লাভজনক হতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।