‘নো কস্ট ইএমআই’ বা ‘বাই নাও পে লেটার’-এর যুগ এখন। আর এমন ছোট ছোট ঋণ নিয়েই অনেকে অ্যাপল, আইফোন থেকে নানাধরনের কেনাকাটা করা করেন আজকাল। এবার এই নিয়েই কড়া হল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই সংক্রান্ত নিয়মবিধি এবার কঠোর হল।
(আরও পড়ুন: IDBI Bank-এ ২১০০ শূন্যপদ, দু’টি পোস্টে নিয়োগ! কারা আবেদন করতে পারবেন)
বর্তমানে বিভিন্ন পেমেন্ট অ্যাপ ও ব্যাঙ্ক ছোটখাটো ঋণ দিয়ে থাকে। যেগুলির জন্য আদতে কোনও সিকিউরিটি জমা দিতে হয় না। এতে বেশিরভাগ ঋণই ১০,০০০ টাকার কম। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই প্রবণতাকে ব্যাঙ্কের ব্যবসার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে। এতদিন এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছে আরবিআই। এবার এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল।
ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি অর্থাৎ বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির ঋণে ঝুঁকির হার ২৫ শতাংশ বেড়েছে আরবিআই-এর হিসেবে। সেই ঝুঁকি মেটাতে ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের ব্যালেন্সসিটে আগের থেকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ খরতে হবে । এই ব্যাপারে নিয়মিত তথর জানাতে হবে আরবিআই-কে। এর জন্য আলাদা তহবিলের ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে।
(আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সরকারি সিস্টেমে সাইবার হানা! আরও কিছু দেশকে সতর্ক করল Google)
এই ধরনের ঋণের পরিমাণ অল্প হলেও আরবিআই-এর আশঙ্কা, এটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ঝুঁকি বাড়াবে। কারণ এই সমস্ত ঋণ নিরাপদ নয়। এই ঋণের বিনিময়ে জনগণ কোনও সম্পদ বন্ধক রাখে না। এই ঋণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান আরবিআই-এর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশে অনিরাপদ ঋণ গ্রহণের বেড়েছে ২৩ শতাংশ। দেশে সাধারণ ঋণ গ্রহণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি মাত্র ১২ থেকে ১৪ শতাংশ।
সাধারণদের উপরেও কোপ পড়বে?
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছোট ঋণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্যাঙ্কিং ও অর্থ খাতে। ব্যাঙ্ক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির জন্য এবার এনপিএ ধরনের ঋণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। ফলে এই ঋণগুলি গ্রাহকদের না দেওয়ার চেষ্টা করবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য ধরনের EMI-তে সুদ নেওয়াও শুরু করতে পারে। তবে RBI-এর এই নিয়মগুলি বাড়ি, শিক্ষা, যানবাহন এবং সোনার ঋণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তাই এই খাতে ঋণ নিলে সাধারণদের তেমন সমস্যা হবে না।