এবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তবে শুধু আরজি কর নয়, তিনি একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সরব হলেন। নারীদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রপতি। গোটা দেশ এই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল। বিদেশেও প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। কলকাতার আরজি করের সেমিনার হলে ওই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনার জাস্টিস চান সাধারণ মানুষ।
এবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতি। পিটিআইকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, কোনও সভ্য সমাজে কন্যা ও বোনেরা এই ধরনের নৃশংসতার শিকার হতে পারে না। যথেষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন নির্ভয়া কাণ্ডের পর ১২ বছরে প্রায় অগণিত ধর্ষণের ঘটনা অবহেলার চোখে দেখেছে। এই যৌথ স্মৃতি বিভ্রান্তি জঘন্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শুধুমাত্র ইতিহাসের মুখোমুখি হতে ভীত সমাজই যৌথ স্মৃতিভ্রংশকে অবলম্বন করে। দেশকে অবশ্যই ইতিহাসের মুখোমুখি হতেই হবে। আমাদের এই বিকৃতির সঙ্গে ব্যপকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। মূলেই ধ্বংস করে ফেলতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি কেবলমাত্র আরজি কর কাণ্ডের কথা নয়, তিনি উত্তরাখণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে নার্সদের ধর্ষণের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
এমনকী মালায়লম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের যে অভিযোগ রয়েছে তারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি শুধু বাংলার ধর্ষণের প্রসঙ্গ তোলেননি তিনি গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। আর রাষ্ট্রপতি নারী নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ।
তবে রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করার কতটা এক্তিয়ার কুণাল ঘোষের রয়েছে সেই প্রশ্নটাও এদিন নতুন করে তুলেছেন অনেকেই।
কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আরজি কর নিয়ে রাষ্ট্রপতির কথা শুনলাম। উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস, মণিপুরের সময় বুক কেঁপে ওঠেনি মাননীয়া? ওড়িশা, মহারাষ্ট্র উত্তরাখণ্ড দেখতে পেলেন না? সাক্ষী মালিকদের মত সোনার মেয়েদের প্রতিবাদের সময় বিজেপির বিরুদ্ধে কষ্ট হয়?
সেই সঙ্গেই কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাই তিনি খালি দেখতে পেলেন। তিনি রাষ্ট্রপতির চেয়ারে আছেন, বিজেপি নেত্রী নন। বিবেকের কথা বলতে হয় বলুন। তবে উত্তরপ্রদেশ, সাক্ষী মালিক আপনার বিবেক যেন সব জায়গায় যায়।