সোমবার দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এই বন্ধকে অন্যান্য রাজ্য সমর্থনও করেছে। বাংলা ইস্যুকে সমর্থন করলেও ভারত বন্ধকে সমর্থন করছে না। সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত বন্ধের আগের দিন কৃষক সংগঠনের নেতা রাকেশ তিকাইত হুঁশিয়ারি দেন, এই লড়াই নয়াদিল্লি এবং গ্রামগুলির মধ্যেকার লড়াই। এমনকী ১০ বছর ধরেও আমরা এই লড়াই করতে প্রস্তুত যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের আন্দোলন ১০ মাসে পড়ল। দিল্লির বুকে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই বিষয়ে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, ‘কৃষকরা এই লড়াই পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত লড়বে। যতক্ষণ না এই কালা কানুন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই। সেটা হল, সরকারকে এই আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। আমরা তা কোনও মূল্যেই বাস্তবায়িত হতে দেব না।’ সুতরাং সোমবারের বন্ধ ব্যাপক প্রভাব ফেলবে দেশে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকার–কৃষক সংগঠন বারবার বৈঠক হলেও মেলেনি রফাসূত্র। তাই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া বার্তা দিয়ে রাকেশ তিকাইত বলেন, ‘কৃষকদের অতীত ইতিহাস কি সরকার পড়েছে? যদি পড়ে থাকত তাহলে এই আইন নিয়ে আসত না। আমরা ভূমিপুত্র, তাই সরকারকে বাধ্য করব আমাদের দাবি মানতে। আমরা সামনে থেকে লড়াই করি। আর সরকার পিছন থেকে আইটি সেলকে দিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে লড়াই করে। এই লড়াই গরীব–ধনীর মধ্যে, দিল্লি আক গ্রামের মধ্যে।’
এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা নির্বাচন হবে সেইসব রাজ্যে যাবে। আর সরকারের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গিয়ে প্রচার করা হবে। যদি না এই আইন প্রত্যাহার করা হয়। এমনকী এরপর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হবে। যদি না সরকারের টনক নড়ে।