মল্লিকা সোনি
চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন যে বেজিং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। বর্তমান কঠিন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে চিন একথা জানিয়েছে বলে খবর। সাংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনটাই খবর।
পুতিন চিনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, রাশিয়া ও চিনের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও সমণ্বয় আরও বৃদ্ধির দিকে আমরা লক্ষ্য় রাখছি। অপ্রত্যাশিত পশ্চিমী দেশের চাপ ও উসকানিকে রুখতে এই উদ্য়োগ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন ২০২৩ সালের বসন্তে জি জিনপিং রাশিয়া সফরে আসুন এটাই তিনি প্রত্য়াশা করছেন।
এদিকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে কথাবার্তা এগোয়। সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন রাশিয়া আর চিনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্ব রয়েছে। দু দেশের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখছেন তিনি।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও কাছাকাছি আসছে চিন ও রাশিয়া? এমনকী বর্তমান পরিস্থিতিতে দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবার পরস্পরের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপরেও গুরুত্ব দিয়েছেন। যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চিন ও পাকিস্তান কাছাকাছি আসছে। এটা ভারতের ক্ষেত্রে কার্যত আশঙ্কার কারণ বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী একটি এই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল বলছেন, ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সীমান্তের অবস্থা দ্রুত বদলাচ্ছে। আমাদের দুটি শত্রু রয়েছে। চিন আর পাকিস্তান। আর আমাদের পলিসি ছিল যাতে তাদের আলাদা করে রাখা যায়। রাহুল গান্ধী বলেন, যখন রাজীব গান্ধী জী ওখানে গিয়েছিলেন, তিনিও চাইতেন যাতে ওরা দুজন(চিন ও পাকিস্তান) এক না হতে পারে।
এর সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর সংযোজন, বর্তমানে শুধু একটিই পক্ষ। কারণ চিন আর পাকিস্তান এক হয়ে গিয়েছে। শুধু সামরিক দিক থেকে নয়। অর্থনৈতিকভাবেও তারা একতাবদ্ধ হয়েছে।
এর সঙ্গে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, চিনের অর্থনৈতিক সিস্টেম দ্রুত ওপরের দিকে উঠছে। আর আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ২০১৪ সালের পর থেকে দ্রুত নীচের দিকে নামছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা, লড়াই, দ্বিধা, ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।…ভারত কিন্তু মারাত্মক বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। চিন আর পাকিস্তান উভয়ই আমাদের জন্য় বিষ্ময় নিয়ে অপেক্ষা করছে।