আসল শিবসেনা কারা? উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডের সেই ম্যাচে রেফারি থাকছে নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন।
মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, 'নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।' যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা।
আরও পড়ুন: Maharashtra Panchayat Election Result: পঞ্চায়েত ভোটে ‘জয়’ BJP-শিন্ডে ডোটের, পালটা দাবি আঘাড়ি জোটের
মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, নিজেদের আসল শিবসেনা দাবি করে কীভাবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে শিন্ডে শিবির? প্রত্যুত্তরে সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা।
পালটা শিন্ডে শিবিরের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লাখ শিবসেনা সমর্থক। শিন্ডে শিবিরের অপর আইনজীবী মনিন্দর সিং দাবি করেন, ভোটের আগে জোট হয়েছিল। বিধানসভায় পরীক্ষার মুখে বসার একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। তা থেকে অনুমান করা যায় যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব। তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।
উল্লেখ্য, শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে পড়ে গিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। এক সপ্তাহের মাথায় দলত্যাগ, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধবরা। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয়।