রিয়াসি জঙ্গি হামলায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হল। গত ৯ জুন বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার ১০ দিন পরে অবশেষে কাউকে গ্রেফতার করা হল। তার বিষয়ে এখনও বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধৃত যে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড নয়, তা জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। রিয়াসির সিনিয়র সুপারিটেন্ডেট অফ পুলিশ মোহিতা শর্মা বলেছেন, 'রিয়াসি জঙ্গি হামলার ঘটনায় একজনকে সরকারিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ও মাস্টারমাইন্ড নয়। তবে ওই জঙ্গি হামলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।'
রিয়াসি জঙ্গি হামলা
৯ জুন বাসে চেপে শিবখোরি মন্দির থেকে কাটরায় মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের একটি দল। কেউ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কারও বাড়ি আবার রাজস্থান, দিল্লিতে ছিল। রিয়াসি জেলায় ৫৩ আসনের বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তার জেরে গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। তিনজন মহিলা-সহ মোট নয় যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে ৪১ জন।
NIA-র হাতে রিয়াসি জঙ্গি হামলার তদন্তভার
রিয়াসিতে জঙ্গি হামলার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে আরও একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ১১ জুন ডোডা জেলার ভাদরওয়া এলাকায় ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পরদিনই ডোডা জেলার গান্দোতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দলের হামলা চালানো হয়। এক পুলিশ অফিসার এবং ছয়জন জওয়ান আহত হন।
আরও পড়ুন: 'ভারতীয় না পাকিস্তানি যেই হোক', রউফ কাণ্ডে প্যাঁচ রিজওয়ানের, সমঝে দিল নেটপাড়া
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার (১৬ জুন) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ভারতীয় সেনার প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, সিআরপিএফের অধিকর্তা জেনারেল অনীশ দয়াল সিংয়ের মতো শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা জোরদার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হয়। তারপর সোমবার সরকারিভাবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআই) হাতে রিয়াসি হামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Rahul on terrorist attack: ‘মোদী চুপ কেন? দেশ জানতে চায়’, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা নিয়ে তোপ রাহুলের
মোদী সাফ জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আছে। সম্প্রতি যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে জঙ্গিরা কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরের মতো জম্মু ডিভিশনেও 'জিরো-টেরর' নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন শাহ। সেইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি একেবারে কঠোর হাতে সন্ত্রাসবাদকে দমন করার নির্দেশ দেন।