নাগপুরে আরএসএস সদর দফতরে পাক জঙ্গি সংগঠনের রেইকি করার ঘটনায় এবার নয়া মোড়। তদন্তে উঠে আসছে জইশ-ই- মহম্মদ জঙ্গি রৈশ আহম্মদ শেখ নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক গত বছর জুলাই মাসে নাগপুরে এসেছিল। পরে সে কাশ্মীরে ধরাও পড়ে যায়। তদন্তকারীদের সন্দেহ নাগপুরের স্থানীয় কোনও সহযোগীর কাছ থেকে সে সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু শেষ সময়ে সে সহযোগিতা করতে চায়নি। এরপরই কার্যত ছক বানচাল হয়ে যায়। উমর বলে এক পাক জঙ্গি তাকে নিয়ন্ত্রণ করছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তবে ওই যুবককে জেরা করে তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও আত্মঘাতী হামলার ছক কষা হচ্ছিল। সেকারণে তাকে অথবা অন্য় কোনও মডিউলকে হয়তো পাঠানো হত।
এদিকে নাগপুরে কোন স্লিপার সেল এক্ষেত্রে কাজ করছিল সেটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিকে স্থানীয় স্তরে সহায়তা না মেলায় গুগল ম্যাপ দেখেই শহর ঘুরেছিল জঙ্গি। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ওই যুবককে জঙ্গি গোষ্ঠী ইলেকট্রিক সার্কিট বাঁধার কাজে লাগাচ্ছিল। নাগপুর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে গিয়ে ওই জঙ্গিকে জেরা করে এসেছেন। ওই পুলিশ কর্তার দাবি, নাগপুরের লোকটা অজানা কোনও কারণে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছিল। তবে এখনও তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। জানিয়েছেন ডিসিপি চিন্ময় পণ্ডিত।
সূত্রের খবর, গতবছর ১৩ই জুলাই বিমানে নাগপুরে এসেছিল ওই জঙ্গি। এরপর পশ্চিম নাগপুরের হোটেলে সে রুম নেয়। এরপর অটোতে চেপে আরএসএস সদর দফতরের সামনে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ পাহারা দেখে ৬ লেনের মধ্যে ঢুকতে আর সাহস পায়নি। তবে আরএসএস সদর দফতরের ভেতরের ছবি চেয়েছিল জঙ্গি মাথারা। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি জানাজানির পরে বর্তমানে ওই এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।