আরএসএসের সদর দফতরে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জইশ ই- মহম্মদ। এমনটাই জানতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। এমনকী নাগপুরে এসে রেইকিও করে গিয়েছিল তারা। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার অ্য়ান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার। ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সঞ্জয় পান্ডে এটিএসের হাতে এই মামলা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছর জুলাই মাসে জইশ-ই- মহম্মদের আওতায় থাকা এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাশ্মীরে। সে আরএসএস সদর দফতর পর্যন্ত রেইকি করেছিল বলে পরবর্তীতে স্বীকার করে নেয়। এরপরই এনিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু হয়। এমনকী পাকিস্তানে তার এক সহযোগীকে সে ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযুক্ত জঙ্গি রইশ আহম্মদ শেখের কাছ থেকে গ্রেনেডও পাওয়া গিয়েছিল। জেরাতে সে জানিয়েছিল সঙ্ঘ বিল্ডিং ও স্মৃতি মন্দিরে রেইকির দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল।
নাগপুর পুলিশের টিমও কাশ্মীরে গিয়ে ওই জঙ্গিকে জেরা করে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন নাগপুরে এসে হোটেলে ছিল ওই জঙ্গি। এরপর গুগল ম্য়াপ দেখে অটোতে চেপে বিভিন্ন জায়গায় রেইকি করেছিল সে। তবে আরএসএস সদর দফতরের সামনে পুলিশ মোতায়েন দেখে আর এগোতে সাহস পায়নি সে। এরপর ফিরে যায় কাশ্মীরে। এরপরই নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। আরএসএস সদর দফতরের উপর ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।