লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেক্ষেত্রে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু শরিকদের সহায়তায় তৈরি হচ্ছে এনডিএ সরকার। এখন আর এটা বিজেপি বা মোদী সরকার বলা যাবে না। সারা দেশেই ফল খারাপ হয়েছে বিজেপির। আর বাংলায় তো দাঁড়াতেই পারেনি বিজেপি। ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়েছে। ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আজ, রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য ত্রিপুরায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চাকরির পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেল। যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
আজ, রবিবার পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার প্রাক্কালে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেল ত্রিপুরায়। তার জেরে বাতিল হয়ে গেল চাকরির পরীক্ষা। ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদ তথা (টিটিএএডিসি) প্রশাসনের চাকরির বিষয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে রবিবার দিনের পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এডিসি প্রশাসন থেকে সাবজোনাল অফিসার এবং ডেপুটি প্রিন্সিপাল পদে ১১০টি শূন্যপদ পূরণের পরীক্ষা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ১১০টি পদে পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট ২৬ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে পরীক্ষার কেন্দ্র এবং পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়েছিল টিটিএএডিসি প্রশাসন–সহ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। পরীক্ষার জন্য ৭৮টি সেন্টার নির্ধারিত করা হয়েছিল প্রার্থীদের জন্য।
আরও পড়ুন: মেট্রো টানেলে জল থইথই অবস্থা থেকে শিক্ষা, এবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় হল মক ড্রিল
এবারই প্রথমবার এমন প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটল টিটিএএডিসি–তে। আজ, রবিবার নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার দুপুরে হঠাৎ এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সিকে জামাতিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম আজ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা জানতে পারি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তাই অপ্রস্তুত পরিস্থিতি এড়াতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য।’ তবে কীভাবে পরীক্ষার আগের দিন এই প্রশ্নপত্র প্রশাসনের লকার থেকে ফাঁস হয়ে গেল সেটার কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করবেন আগরতলার পশ্চিম থানায়।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান, সিকে জামাতিয়া। এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের পিছনে প্রশাসনের কেউ আছেন? প্রশ্নের জবাবে সিকে জামাতিয়ার বক্তব।, ‘আমরা সবসময় সুশাসনের কথা বলি। ফোকাস করি স্বচ্ছতার উপর। তাই যখনই আমরা জানতে পেরেছি প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা তখনই আমরা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সমস্ত অভিযোগই ক্রস চেক করা হচ্ছে। এখানে কোনও দুর্নীতির জায়গা নেই। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। খুব শীঘ্রই পরীক্ষা নেওয়া হবে।’ তবে পরীক্ষার স্থান ও প্রার্থীদের রোল নম্বর একই থাকবে।