রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট ডেকে পাঠিয়েছিল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই তলবের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক এবং রুজিরা। তবে আজ শীর্ষ আদালতে অভিষেকরা বড় ধাক্কা খেলেন। কারণ তাঁদের দায়ের করা আবেদন খারিজ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ডেকে অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করতে চেয়েছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল, নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় অভিষেক এবং রুজিরাকে জেরা করায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। (আরও পড়ুন: এসপি দাসের সঙ্গে CJI চন্দ্রচূড়ের স্ত্রীর 'যোগ' নিয়ে পোস্ট ভাইরাল,মুখ খুলল পুলিশ)
আরও পড়ুন: 'ক্ষমা চাইতে হবে', এবার অভিষেকের 'মিথ্যাচারের' বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন চিকিৎসকরা
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে নৈরাজ্য, 'দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ', ফের উর্দিধারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এর আগে কয়লা পাচার মামলায় ইডি একাধিকবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছিল। সেই মামলায় দিল্লিতেও ডেকে নিয়ে অভিষেককে একাধিকবার জেরা করেছে এনফোর্সেন্ট ডিরেক্টোরেটের তদন্তকারীরা। তবে এর আগে নির্বাচনের আবহে দিল্লিতে ডেকে অভিষেককে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি। তবে সেই সময় সুপ্রিম স্বস্তি পেয়েছিলেন অভিষেক। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অর্থাৎ জুলাই পর্যন্ত যেন অভিষেককে যেন ইডি দিল্লিতে তলব না করে। তবে নির্বাচন মিটতেই ফের ইডি তলব করে অভিষেককে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে সেই মামলা ওঠে। তবে আজ সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। (আরও পড়ুন: 'পছন্দ হল?' হংকংয়ে পুরুষ নার্সের গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টার অভিযোগ সন্দীপের নামে)
আরও পড়ুন: ছুটে আসছে ট্রেন, রেল লাইনে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার! পরিকল্পনা করে ‘দুর্ঘটনার ছক’
আরও পড়ুন: 'দখলের রাতে' এবার রব উঠল 'জস্টিস ফর কোন্নগর', কিন্তু মশাল হাতে ওরা কারা?
অভিষেক ও রুজিরার অবশ্য যুক্তি ছিল, তাঁদের বাড়িতে ছোট ছোট দুই সন্তান আছে। এদিকে কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দফতর আছে। তাহলে কেন তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হবে? এর আগে এর আগে কয়লা পাচার মামলায় আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্তেও ইডি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দিল্লিতে গিয়েও ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। এমনকী সেই মামলায় তাঁর বাড়ি 'শান্তিনিকেতন'-এ গিয়ে স্ত্রী রুজিরাকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিজিও কমপ্লেক্সেও আসেন রুজিরা। আর সম্প্রতি শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অভিষেকের। এই আবহে আগেও তৃণমূলের সেনাপতিকে তলব করে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছিল ইডি। (আরও পড়ুন: সংগঠন নিয়ে 'বিতর্ক', সেই রিমঝিমের সঙ্গে দেখা নির্যাতিতার মা-বাবা, কী কথা হল?)
আরও পড়ুন: '১৪ তারিখের প্রতিবাদ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত...', আরজি কর আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দেবাংশু
উল্লেখ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, অভিষেকের নাম বলানোর জন্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। এই মর্মে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে অভিষেককে জেরা করা যাবে এই মামলায়। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র গ্রেফতারির পর ফের সামনে আসে অভিষেকের নাম। কারণ সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর কর্মী ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। এই আবহে মাস খানেক আগেই অভিষেকের গোটা পরিবারকেই তলব করা হয়েছিল ইডির তরফে। মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্ত্রী রুজিরার এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সঙ্গে জড়িত বলেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় লতা ও অমিত হাজিরা না দিলেও, হাজিরা দিয়েছিলেন সাংসদের স্ত্রী।