সরকারি চাকরিতে নিয়ে নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে বলা হল, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন মাঝপথে বিধি বদল করা যাবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার জন্যেই এটা জরুরি। এদিকে আদালত আরও বলেছে, যদি নিয়োগের বিভিন্ন ধাপে বেঞ্চমার্ক নির্ধারণের বিধি থেকে থাকে, তাহলে সেই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সেই সংক্রান্ত বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। (আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি রাজ্যের IAS-IPSদের, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কর্মীরা পাবেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা)
আরও পড়ুন: 'প্রতি মাসে ৯-১০ কোটি...', অবশেষে কালীপুজোর পর ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের
আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের তাণ্ডবের আবহে নিজেদের 'অকর্মণ্য' প্রমাণ কানাডার, বড় পদক্ষেপ ভারতের
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে কে মঞ্জুশ্রী বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের ২০০৮ সালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল আগেই। তাতেই বলা হয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে নিয়োগের মানদণ্ড বা বিধি বদল করা যায় না। সেই মামলার রায়ের উল্লেখ করে ২০১৩ সালে অপর একটি মামলার রায় শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তেজ প্রকাশ পাঠক বনাম রাজস্থানের সেই মামলাটি ছিল রাজস্থান বিচার বিভাগে ১৩ জন ট্রান্সলেটর নিয়োগ নিয়ে। এই আবহে ২০০৮ সালের সুপ্রিম রায়ে গলদ ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের মামলায়। এই নিয়েই পর্যালোচনা করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তাতে রায় দেওয়া হল, ২০০৮ সালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে কোনও ত্রুটি ছিল না। এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও জাস্টিস ঋষিকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, জাস্টিস পঙ্কজ মিত্তল এবং জাস্টিস মনোজ মিশ্রা ছিলেন। (আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা ইস্যুতে হাতাহাতি, কুস্তির আখড়ায় পরিণত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা)
আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে খলিস্তানি হামলার পর সাসপেন্ড হিন্দু পুরোহিত, তাঁর দোষ...
এই আবহে শীর্ষ আদালত জোর দিয়ে বলে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি সবসময় স্বচ্ছ হতে হবে এবং তাতে বৈষম্য থাকলে চলবে না। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিলেকশন লিস্টে নাম থাকলেই যে কোনও চাকরিপ্রার্থীর চাকরির অধিকার নিশ্চিত, এমনটা নয়। তবে যদি পদ খালি থাকে, এবং চাকরিপ্রার্থী যদি যোগ্য হন, তাহলে সরকার সেই কর্মীর নিয়োগ আটকাতে পারে না। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় চাকরির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এবং তা সম্পন্ন হয় যখন শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হয়ে যায়। যদি আগে থেকে নিয়ম না থাকে, তাহলে এর মাঝে নিয়োগের মানদণ্ড বা বিধি বদল করা যায় না। আর যদি মাঝপথে বিধি বদলের সংস্থান আগে থেকে থেকেও থাকে, তাহলেও তা একপাক্ষিক হতে পারে না। সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ নং ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বিধি বদলের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।'