আগামী মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে লকডাউন। কিন্তু যে হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, আপাতত অধিকাংশ রাজ্যেই লকডাউন ওঠানোর বিরোধী। সেই কারণে এই মাসের শেষ অবধি সরকার বাড়াতে চলেছে লকডাউন, এমনই মনে করা হচ্ছে। তবে দেশের কিছু ক্লাস্টারেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ হয়েছে। যেসব জায়গায় করোনা রোগী নেই, সেখানে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যাতে শুরু করা যায়, তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
সারা দেশকে লাল, কমলা ও সবুজ জোনে ভাগ করার পরিকল্পনা মোদী সরকারের। একই সঙ্গে খুলতে পারে মদের দোকান। হয়তো আংশিক ভাবে চালু হবে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদীর বৈঠকে এই সকল প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
লাল জোনে কোনও কিছু খুলবে না। মূলত হটস্পট এরিয়া, যেখানে বেশকিছু কেস রিপোর্ট হয়েছে, সেগুলিকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে।
কমলা জোন অর্থাত্ যেখানে আগে করোনার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু এখন নতুন কোনও কেস রিপোর্ট হচ্ছে না। সেখানে সীমিত সংখ্যক বাস, ট্রেন চালানো, কৃষিফলন ইত্যাদি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
সবুজ জোন হচ্ছে সেই সব জেলা যেখানো কোনও করোনা রোগী নেই। সেখানে কৃষি ও ছোটো ব্যবসার কাজ শুরু করতে চাইছে মোদী সরকার। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর কোনও আপোষ করা যাবে না।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা বলেন যে আন্তঃরাজ্য যানচলাচলের বিরোধী তাঁরা। তবে প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রীই মদের দোকান খোলার পক্ষে সওয়াল করেন, কারণ খুব বড় পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছেন তারা প্রতিদিন। সেই কারণে মদের দোকান খুলতে পারে কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।
কিছু কিছু অঞ্চলে ট্রেন ও বাস পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যতটা আসনসংখ্যা তার কেবল ৩০ শতাংশ লোক তোলা যাবে, এরকম নিয়ম সম্ভবত করে দেওয়া হবে।
এই মুহূর্তে বড় শহরগুলিতে অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জন্য নামমাত্র যানবাহন চলছে। সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৮৩৫৬, মারা গিয়েছেন ২৭৩ জন।